আরওবেশ কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি সহ একাধিক জায়হায় ভয়াবহ টর্নেডো হয়েছিল। এর জেরে শতাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। এদিকে টর্নেডোর খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই টর্নেডোর ক্ষতিপূরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রসঙ্গত, টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের ফের বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সরকারি নিয়মে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্যে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আবহে উত্তরবঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারপিছু ১ লাখ টাকা করে 'বেশি' দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্যের শাসকদল। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, এই কারণেই কি তবে নির্বাচন কমিশন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি? (আরও পড়ুন: বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে বাংলার 'ছোঁয়া', ২৭০ কোটির বরাত পেল কলকাতার সংস্থা)
আরও পড়ুন: গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর ১ মাস পূর্তি,এখনও কতজন চড়েছেন জানেন?
আরও পড়ুন: এবার ভোট প্রচারে মমতার মুখে 'ডিএ বাণী', রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিলেন 'খুশির খবর'
বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরির জন্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করে আদতে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পাকা এবং কাঁচাবাড়ির জন্য ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। এদিকে বাড়ি যদি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ৫ হাজার টাকা। এর আগে ২০২০ সালে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়া কাঁচাবাড়ি পুননির্মাণের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা করে দিয়ে থাকত রাজ্য সরকার। সেই বছর আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিশেষ ক্ষেত্রে সেই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ হাজার করা হয়েছিল। পরে ২০২১ সালে সব কাঁচা বাড়ি পুননির্মাণের ক্ষেত্রেই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। তবে ভোটের আবহে উত্তরবঙ্গে মমতা ঘোষণা করেন সেই পরিমাণের ৬ গুণ ক্ষতিপূরণ। (আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচের হাসপাতালে আগুন, রোগীদের উদ্ধার করলেন RPF জওয়ানরা)
আরও পড়ুন: ওড়িশায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কলকাতাগামী বাস, মৃত ৫ যাত্রী, আহত ৪০
এই আবহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যে গত ৯ এপ্রিল অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সেই ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২০ হাজার (সরকারি নিয়ম মতে) টাকা করে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত থাকতে পারবেন না। রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি বিধি অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। তবে মমতা এবং অভিষেক যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ঘোষণা করেছিলেন, সেই ক্ষতিপূরণের অনুমতি নির্বাচন কমিশন দেয়নি।