ফের সীমান্তে চলল গুলি। গরু পাচারের অভিযোগে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল এক পাচারকারীর। জানা গিয়েছে, ওই গরু পাচারকারী বাংলাদেশের নাগরিক। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট অঞ্চলের খুদিগজ গ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃত বাংলাদেশি নাগরিকের নাম মহম্মদ আকাশ (৩০)। ওই পাচারকারী বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু, মাথাভাঙায় রক্তারক্তি কাণ্ড
কী ঘটেছিল?
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কিছু পাচারকারী গরু পাচারের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বিষয়টি নজরে আসতেই বিএসএফের জওয়ানরা তাদের নিষেধ করে। কিন্তু, পাচারকারীরা বিএসএফের নিষেধাজ্ঞা না শুনে পালাতে শুরু করে। সেইসময় বিএসএফ জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আকাশের। পরে খবর দেওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিএসএফের ডিআইজি (জেনারেল) অমিত কুমার ত্যাগী বলেন, ‘কয়েকজন পাচারকারী গরু পাচারের উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করছিল। আমাদের জওয়ানরা তাদের বাধা দেয়। তারা না শুনলে জওয়ানরা গুলি চালাতে বাধ্য হন। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান হাটে গরুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার দুই সন্তান রয়েছে। মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানা এলাকায় ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক গরু পাচারকারীর। এছাড়াও, সেপ্টেম্বরের শেষে নদিয়ার ভীমপুরের রাঙিয়া পোতা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ওই অনুপ্রবেশকারীর কাছ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছিল।