পঞ্চায়েত নির্বাচন কী এগিয়ে আসবে? বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের পর জেলায় জেলায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাড়াতাড়ি কাজগুলি শেষ করুন। যে কোনওদিন নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। গ্রামীণ উন্নয়নেও জোর দেন তিনি। এভাবেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী করে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের সব জেলাশাসককে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে। সেই প্রশাসনিক বৈঠকের নির্যাস—এগিয়ে আসছে আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন। জনপ্রতিনিধিদের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা—‘গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ থেকে বাড়ি তৈরি, সব কাজ তাড়াতাড়ি করুন। না হলে কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন এসে যাবে, তখন শুধু ললিপপ খাবেন। ইলেকশন কিন্তু যে কোনও দিন ঘোষণা হয়ে যাবে।’
কেন এগোতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন? সূত্রের খবর, কেন্দ্র বিরোধী লড়াইয়ে এখন একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনার পরিকল্পনাটা কার্যত মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে পাহাড় থেকে সমতল একের পর এক নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই গ্রামীণ নির্বাচনেও পদ্ম শিবিরকে আরও বড় ধাক্কা দিতেই এগিয়ে আসতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
কিন্তু আবাস যোজনার টাকা আসবে কোথা থেকে? যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের টাকা আসছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সেহেতু তিনিই বাতলেছেন টাকার উৎস। এদিন তিনি বলেন, ‘আবাস যোজনা প্রকল্পে ৪০ শতাংশ অর্থ দেয় রাজ্য। সেই বাবদ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাজ্যের শেয়ার ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করা হবে। আর গ্রামীণ সড়ক তৈরি করবে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদগুলি। খরচ করবে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে পাওয়া টাকা।’