পানিহাটির দই চিঁড়ে মেলায় রবিবার চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক পুণ্যার্থী। বিশৃঙ্খলার জেরে মেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইটে শোকবার্তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পানিহাটিতে ইস্কন মন্দিরে দণ্ড মহোৎসবে প্রচণ্ড গরমে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে সবরকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে। যে সব পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’
প্রতি বছর দণ্ড মহোৎসব পালিত হয় পানিহাটি গঙ্গার তীরবর্তী মহোৎসবতলা ঘাটে। এই দণ্ডমহোৎসবে শুধু পানিহাটি নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৈষ্ণব ধর্মালম্বীরা ভিড় জমান। এই বছর ছিল ৫০৬ তম বর্ষ। এদিন সকাল থেকে প্রচুর মানুষ এসেছেন এই মহোৎসবে যোগ দিতে। প্রতি বছরই পানিহাটি পুরসভার উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এদিন মেলায় আগত পুণ্যার্থীরা সকাল থেকেই মেলায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। মেলায় আগত এক পুণ্যার্থী জানান, ‘আমি দক্ষিণেশ্বর আড়িয়াদহ থেকে আসছি। এইবারই প্রথম মেলায় আসছি। খুব ভালো লাগছে। তবে এখানে সিস্টেম বলে কিছু নেই। তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
এদিন প্রচুর মানুষ একসঙ্গে মেলা প্রাঙ্গনে আসতে থাকায় মেলা প্রবেশ বন্ধ করে দিতে হয় প্রশাসনকে। মেলায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানান, ‘গত দুই বছর করোনা ছিল। এখানে ভক্তরা আসতে পারেনি। এই বছর প্রচুর মানুষ এসেছেন। এই বছর এত ভিড় হয়েছে যে মানুষ গরমে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবীরা আর পুণ্যার্থীদের মন্দির প্রাঙ্গণে যেতে দিচ্ছে না। মন্দির প্রাঙ্গণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২ জন অজ্ঞান হয়ে মারা গেছেন। সবই ৬০ বছরের ঊর্দ্ধে। ১৫ জনেরও বেশি অসুস্থ হয়ে গেছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।’