১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা মেটানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই আজ সোমবার থেকে জেলায় জেলায় টাকা মেটানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১ মার্চের মধ্যে এই টাকা মেটানো হবে। অন্যান্য জেলার মতো পাহাড়ের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়েও ১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা মেটাতে ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এই নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে পাহাড়ে জোর কদমে বিজেপি বিরোধী প্রচারে নেমে পড়েছে অনিথ থাপার দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পেতে সহায়তা কেন্দ্রে শ্রমিকদের ফর্ম ফিলাপ করেদিলেন মহুয়া
অন্যান্য জেলার মতোই পাহাড়ে ২০১৯ সালের পর থেকে শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে পাহাড়ের দুটি জেলার জিটিএ এলাকা মিলিয়ে ১২৯ কোটি ৪২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এই জেলাতেও আজ সোমবার থেকে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনীত থাপা। তাঁর বক্তব্য, পাহাড়ের শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সেই টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলে তারা সেই বকেয়া রোজগারের টাকা পাবেন।
একই সঙ্গে পাহাড়ে শ্রমিকদের ১০০ দিনের টাকা বকেয়া রাখার জন্য কেন্দ্র সরকার এবং বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে দায়ী করেছে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। তাদের বক্তব্য, পাহাড়ে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন রাজু বিস্তা। কাজের ক্ষেত্রে অনিয়মের পাশাপাশি ভুয়ো জবকার্ডের মাধ্যমে কাজ হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের কাছে পাহাড়ে ১০০ দিনের টাকা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন রাজু বিস্তা। তারফলে শ্রমিকদের টাকা বকেয়া রেখে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
সরকারি নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরে রবিবার থেকে দলের তরফে এ নিয়ে প্রচার শুরু করা হয়। আগামী কয়েক দিন কেন্দ্র সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রজাতিক মোর্চা প্রচার চালাবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। তারপরে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু টাকা বকেয়া থাকায় সমস্যার মধ্যে পড়ছিলেন সেখানকার শ্রমিকরা। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল জিটিএ। শেষ পর্যন্ত সেই বকেয়া টাকা পাওয়ায় খুশি শ্রমিকরা। যদিও এ বিষয়ে কোনও রকম মন্তব্য করেননি বিজেপি সাংসদ।