সপ্তাহখানেক আগেই মন্দারমণির চাঁদপুর বিচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। সেই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু হয়েছিল। অবশেষে সেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় যুবতীর প্রেমিকা এবং তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই ঘটনার সঙ্গে আরই একজন জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে ওই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্দারমণি সৈকতে উদ্ধার হল তরুণীর বিবস্ত্র দেহ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর প্রেমিক হল তার জামাইবাবুর ভাই। যুবতীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিন্তু, যুবতী জানতে পারে সম্প্রতি তার প্রেমিক অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত। ওই যুবতী লাগাতার বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, যুবতীকে খুনের জন্য উত্তর ২৪ পরগনার দমদমের বাসিন্দা এক বন্ধুর সাহায্য নিয়েছিল যুবতীর প্রেমিক। ঘটনায় আরও একজন জড়িত পলাতক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, যুবতীকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মন্দারমণির চাঁদপুর বিচে পাথরের ওপর থেকে ওই যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে তাঁর পরিচয় অজানা ছিল। পরে তদন্তে যুবতীর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তারপরেই তদন্তের অগ্রগতি হয়। ওই যুবতী নদীয়ার বাসিন্দা। তদন্ত পুলিশ জানতে পেরেছে, যুবতীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় একটি মামলা হয়েছিল। তারপরে ওই যুবতীর বাড়িতে টানা সাত মাস গা-ঢাকা দিয়েছিল যুবক তখনই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমদিকে যুবতীর পরিবার এই সম্পর্কে আপত্তি জানালেও পড়ে তারা কেউ আপত্তি জানাননি। ওরে স্বাভাবিকভাবেই যুবকের এরকম কাণ্ডে কার্যত হতবাক তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কলকাতায় অ্যাপ ক্যাব চালাত ওই যুবক। সেই সময় যুবতী বিউটি পার্লারে কাজ করার নামে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যেত। পুলিশ জানতে পারে, তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। এখন তাঁকে মন্দারমণিতে খুন করা হয়েছিল? নাকি অন্য কোথাও খুন করে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? সে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।