কারও কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা, আবার কারও কাছ থেকে তারও বেশি টাকা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী এবং তাঁর স্ত্রী। এমনকী তৃণমূল নেতার কাছ থেকেও নিয়েছিলেন টাকা। তার বদলে ব্যবসায় তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা করিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা তুলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। এমনই অভিযোগ উঠেছিল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। অবশেষে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি বসিরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জামরুলতলার। অভিযুক্ত দম্পতির নাম সুদীপ্ত বল ও তার স্ত্রী মিঠু নাগ বল। ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়া-সহ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সুযোগ করিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই দম্পতি বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নাম করে দুবাইয়ে পাচার বাংলার একদল যুবককে, ফেরানোর আর্জি
অভিযোগ, ওই দম্পতি ২০ জনের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন। প্রতারিত ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। সবমিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন এই দম্পতি। প্রতারিত ব্যক্তিদের অভিযোগ, তাঁরা বারবার টাকার জন্য দম্পতির বাড়িতে গেলেও তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে প্রতারিতরা বসিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সবমিলিয়ে পাঁ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই পলাতক ছিলেন ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী। বুধবার বসিরহাট থানার পুলিশের কাছে খবর গেলে পুলিশ জানতে পারে কলকাতার খান্না এলাকায় একটি গোপন আশ্রয়ে ওই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী আত্মগোপন করে রয়েছেন। এরপরে কলকাতা পুলিশ ও বসিরহাট থানার পুলিশের যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এবিষয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতের আইনজীবী অরিন্দম গোলদার বলেন, ব্যবসায়ী সুদীপ্ত বল বসিরহাটে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তবে কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, সে বিষয়ে লিখিত কোনও তথ্য নেই। কীভাবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে সেই বিষয়েও লিখিত কোনও তথ্য নেই। সবমিলিয়ে দম্পতির বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য বসিরহাট মহকুমা আদালতে বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছে বসিরহাট থানার পুলিশ।