পুরুল্যায় সেনকো গোল্ডের গয়নার দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছে জেলে বসে। ঝাড়খণ্ডের জেলবন্দি দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে এই ডাকাতি করেছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ডাকাতির মূলচক্রী এখনও ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি।
গত ২৯ অগাস্ট দুপুরে পুরুল্যা শহরের নমোপাড়ায় সেনকো গোল্ডের দোকানে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছিল পুলিশ। তদন্তে নেমে গত ৬ সে দিল্লি থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেন সিটের সদস্যরা। তাকে জেরা করে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা করমজিৎ সিং সিধুর খোঁজ পাওয়া যায়। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সুদামডিহি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছে জেলে বসে। ডাকাতিতে মোট ৭ জন যুক্ত ছিল। তারা পুরুল্যা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। সেখান থেকে রোজ মোটরসাইকেলে করে এসে গয়নার দোকানটি রেইকি করা শুরু করে তারা। ২০ অগাস্ট থেকে টানা প্রায় ৭ দিন রেইকি করার পর অপারেশন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ২৯ অগাস্ট হয় ডাকাতি।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ডাকাতির মূলচক্রী ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি। জেলে বসেই ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছে। দলের সদস্যদের দিয়ে ডাকাতি করিয়েছে জেলবন্দি সেই মাফিয়া ডন।
এই ডাকাতির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বাকি ৫ জনের খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করে তাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। সঙ্গে খোঁজ চলছে ডাকাতি হওয়া প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও হিরের গয়নার।