প্রথম চারটি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং আহামরি হয়নি মোটেও। তবে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে তুলনায় দৃঢ়তা দেখায় বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল। যদিও হরমনপ্রীতদের হারানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না তাদের প্রয়াস। ফলে ঘরের মাঠে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচেও ভারতের কাছে হারের মুখ দেখতে হয় বাংলাদেশকে। ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে নিগার সুলতানাদের হোয়াইটওয়াশ করলেন হরমনপ্রীত কৌররা।
সিলেটে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে। ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে এই প্রথমবার কোনও দল দেড়শো রানের গণ্ডি টপকায়।
ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন দয়ালান হেমলতা। ২৮ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৫ বলে ৩৩ রান করেন স্মৃতি মন্ধনা। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ৩০ রান করেন ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। ১৭ বলে ২৮ রান করে নট-আউট থাকেন রিচা ঘোষ। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে কেরিয়ারের ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা শেফালি বর্মা ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন। সজীবন সজনা ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৯ বলে ৫ রান করে নট-আউট থাকেন দীপ্তি শর্মা। বাংলাদেশের রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন। ১টি উইকেট নেন সুলতানা খাতুন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রানে আটকে যায়। ২১ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। সেই সঙ্গে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশকে ৫-০ ব্যবধানে চুনকাম করেন হরমনপ্রীত কৌররা।
আরও পড়ুন:- সব থেকে কম বয়সে ১০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ভারতের শেফালি বর্মা
ঋতু মণি ৩৩ বলে ৩৭ রান করেন। মারেন ৪টি চার। ২১ বলে ২৮ রান করে নট-আউট থাকেন শরিফা খাতুন। তিনি ৩টি চার মারেন। ২১ বলে ২০ রান করেন রুবিয়া হায়দার। তিনিও ৩টি চার মারেন। ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা ১৪ বলে ৭ রান করে আউট হন।
ভারতের রাধা যাদব ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২৫ রানে ২টি উইকেট নেন আশা শোভনা। ২৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নিয়েছেন তিতাস সাধু। ম্যাচের সেরা হন রাধা। সিরিজ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনিই।