বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > গাছে আছে স্যানিটাইজারের গুণ? নজর কাড়ছে উত্তরবঙ্গের সেই গাছ

গাছে আছে স্যানিটাইজারের গুণ? নজর কাড়ছে উত্তরবঙ্গের সেই গাছ

উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় তিতেপাতি গাছকে প্রাকৃতিক স্যানিটাইজার হিসাবে ব্যবহার করা হয় অনেকদিন থেকেই, স্থানীয় সূত্রে খবর (ফাইল ছবি)

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ভেষজ গাছ, দাবি কৃষি বিজ্ঞানীদের। তবে গবেষণা না করে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নন উদ্ভিদবিদরা

তিতেপাতি। উত্তরবঙ্গের বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চলে এই গাছটির প্রচলন রয়েছে যথেষ্ট।কার্শিয়াং, কালিম্পং এলাকায় আকছাড়ই দেখা যায় এই গাছ। কৃষিবিজ্ঞানীদের দাবি, পোকামাকড় তাড়াতে এই গাছের নির্যাস জমিতে ছিটিয়ে দেওয়ারও নজির রয়েছে। তবে করোনাকালে সেই তিতেপাতিই হয়ে গিয়েছে কার্যত প্রাকৃতিক স্যানিটাইজার।লোকের মুখে মুখে ফিরছে এই তিতেপাতির কথা। এমনকী করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকার জন্য এই গাছের পাতা অনেকে আবার শরীরে বা বাড়ির বিভিন্ন অংশে ছিটিয়ে দিচ্ছেন।এতে নাকি করোনা ভাইরাস দূরে থাকবে। এমনটাই বিশ্বাস বাসিন্দাদের অনেকের। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। কৃষি বিজ্ঞানীরা অবশ্য শুধু মাত্র বিশ্বাসের উপর কোনও কিছু মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, এই গাছের আদৌ স্যানিটাইজারের গুণ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা সাপেক্ষ। গবেষণা না করে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে করোনাকালে বাসিন্দাদের মধ্যে যাতে কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেটাও দেখা দরকার। করোনা পরিস্থিতিতে স্য়ানিটাইজারের বিকল্প হিসাবে এটি ব্যবহার করাটা ঠিক নয় বলেই অনেকে মনে করছেন। 

তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে এই গাছ ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। মূলত কীটনাশক হিসাবেই এটিকে ব্যবহার করা হয়। পাতাটির স্বাদ অত্যন্ত তেতো হওয়ার কারণে এটিকে তিতেপাতি বলে উল্লেখ করা হয়। এমনকী শ্মশানে দেহ দাহ করে ফিরে আসার পরে তিতেপাতি শরীরে ছুঁইয়ে শ্মশানযাত্রীদের শরীর শুদ্ধিকরণের রীতি রয়েছে। ঠিক যেভাবে শ্মশান থেকে ফেরার পরে চিরেতার ডালকে দাঁতে কাটার রীতি রয়েছে। তবে কৃষিবিজ্ঞানীদের দাবি, আসলে এটি Artemisial গোত্রের গাছ। এটি ঔষধি গুণ কিছু থাকতে পারে। তবে সবটাই পরীক্ষাসাপেক্ষ। 

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ নৃপেন লস্কর বলেন, পাতার তিক্ততার জন্য এটি তিতেপাতি বলা হয়। কালিম্পং সহ দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায় গাছটি দেখা যায়। পোকামাকড় দূর করতে স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে চিরাচরিতভাবে কাজে লাগান। তবে এই গাছ কতটা কার্যকরী তা পরীক্ষা সাপেক্ষ। এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়। কোচবিহারের কৃষি দফতরের আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তরবঙ্গে নানা ধরণের গাছপালা রয়েছে যেগুলির ঔষধি গুণ রয়েছে। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এগুলি ব্যবহার করা হয়। এনিয়ে গবেষণা বা পরীক্ষা হওয়া দরকার। এনিয়ে আগাম কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।

 

বন্ধ করুন