রাত পোহালেই রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে। এই নিয়ে একটা উৎসবের মেজাজ তৈরি করা হচ্ছে সব রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের সব অফিসে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যকে ছুটি ঘোষণা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এই রাজ্যে এবার ২২ জানুয়ারি অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই বিবৃতি প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে অর্ধদিবসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন থেকে বিভাগ, অফিস থেকে ক্লাস দুপুরের আড়াইটের পর বন্ধ থাকবে।
এই নোটিশ প্রকাশ্যে আসায় নানা ফিসফাস শুরু হয়েছে। কারণ বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এখানে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এমন সব কথা শোনা যাচ্ছে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে আগামীকাল ২২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত অফিসে অর্ধদিবস কাজ হবে। একটি বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কাজ হবে বেলা আড়াইটে পর্যন্ত। শুক্রবার মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে রাজ্যে। এই তালিকায় আছে— উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ছত্তিশগড়, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশ। অসমে অর্ধদিবস ছুটি থাকছে। তবে বাংলায় তা থাকবে কিনা এখনও জানা যায়নি।
ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই চিঠিতে ২২ জানুয়ারি ছুটি দেওয়া হোক বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও সেটা এখনও মান্যতা পায়নি। বরং এই রাজ্যে সংহতি দিবস পালন করা হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। যদিও গোয়া সরকার জানিয়েছে, ওই দিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস এবং স্কুল বন্ধ থাকবে। ত্রিপুরা সরকার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আগামী ২২ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা করেছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টিভিতে সম্প্রচার হবে গোটা অনুষ্ঠান পর্ব।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে ‘মীরজাফর’ বলে আক্রমণ ছাত্র পরিষদের, মেজাজ হারিয়ে হমকি পুরপ্রধানের
এই চিঠি সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। আর রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন বাংলায় ছুটির দাবি করে লিখেছেন, ‘আমি অনুরোধ করেছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যাতে ২২ তারিখ স্কুলগুলিকে ছুটি ঘোষণা করেন। তাহলে ছাত্র–যুবরা এই বিষয়টি দেখে আনন্দ নিতে পারবে। তাঁর সদুত্তরের আশায় আছি।’ ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা দেওয়া হয়।