রামপুরহাটকাণ্ডে বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই স্থানীয় রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হল। এদিকে আইসি রামপুরহাট, এসডিপিও সহ অন্তত ১৫জন সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মীকে আগেই ক্লোজ করা হয়েছিল। এবার রামপুরহাটের আইসির বিরুদ্ধে নেওয়া হল কড়া ব্যবস্থা। এদিকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গোটা বাংলা জুড়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল।
আর এদিন বগটুই গ্রামে গিয়ে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী স্থানীয় থানার আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রামপুরহাট থানার আইসির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য় পুলিশ।কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাঁকে একেবারে সাসপেন্ড করা হল। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
এদিকে এদিনই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন গোটা বাংলা জুড়ে বোমা ও যন্ত্রপাতির বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে হবে পুলিশকে। তল্লাশির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁরা অ্য়াকটিভলি কাজ করবেন তাঁদের সেলাম করবে। আর এনজয় করতে চাইলে তাদের পুলিশের চাকরি করার দরকার নেই। এখানেই প্রশ্ন রামপুরহাট থানার আইসিও কি এনজয়মেন্টে ব্যস্ত থাকতেন? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতে চুনোপুঁটিদের উপর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।