ধস নামল বামদুর্গে। শিলিগুড়িতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বামেরা। শিলিগুড়ির পৌরনিগমের দায়ীত্ব পেয়েই বাম গড়ে ধস নামিয়ে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব। তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের সিপিআইএমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো ও পৌর বোর্ডের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ(কর, পার্কিং) কমল আগরওয়াল। একই দিনে কমলের ভাই মনোজ আগরওয়ালও তৃণমূলে যোগ দেন।
এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব ও রঞ্জন সরকার। এপ্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, ‘ জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছি। অনেকে পাশে আছেন, আগে আরও আসবেন। শহরের দু’জন অতিপরিচিত মুখ, দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে এসেছেন।’
তৃণমূলে যোগ দিয়ে কমলবাবু বলেন, ‘আমি কিছু পাওয়ার জন্য তৃণমূলে আসিনি। এখন পুরভোট নেই বা কবে হবে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিজেপি বললেও আমি সেখানে যাইনি। অশোক ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা করি। তাও বলছি, সিপিএমে থেকে উন্নয়ন ও মানুষের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’ অন্য দিকে, রামভজনবাবু বলেন, ‘বাম নীতি ভাল। তবে তা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কোনও পথ দেখা যাচ্ছে না। সেই জায়গায় মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন, তাতেই আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে সামিল হতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বরাবরই বামেদের শক্ত ঘাটি বলে পরিচিতি রয়েছে শিলিগুড়ির। গত দশ বছরেও সেখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। তবে এবার সব হিসাব উলোটপালট হয়ে গিয়েছে। এবার আর গড় রক্ষা করতে পারেনি বামেরা। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে শিলিগুড়ি থেকেও শূন্য হয়ে গিয়েছে বামেরা।
এই আসন থেকে এবারে পরাজিত হয়েছেন বাম আমলের প্রাক্তন পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষের কাছে পরাজিত হন তিনি। অশোক ভট্টাচার্য হেরে যাওয়ায় পর মনোবল তলানিতে ঠেকেছে জেলার বাম কর্মীদের।