বর্ধমান স্টেশনে আবারও ট্রেন থেকে উদ্ধার হল প্রচুর সংখ্যক কচ্ছপ। তিনটি ব্যাগে করে কচ্ছপগুলি পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বুধবার বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে ডাউন চম্বল এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় আরপিএফ কচ্ছপগুলি উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে ৯৮ টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেগুলি পর্যবেক্ষণের পর ছেড়ে দেওয়া হবে হবে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার ব্যাগ ভর্তি কচ্ছপ, পাচারের আগেই ধরল আরপিএফ
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কচ্ছপগুলি দুটি স্কুল ব্যাগ এবং একটি নাইলনের ব্যাগে ভরে ট্রেনের সিটের নিচে রাখা হয়েছিল। রুটিন তল্লাশি সময় ব্যাগগুলি পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। এরপর সেগুলি খুলতেই দেখা যায় তার ভিতরে প্রচুর সংখ্যক বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে। পরে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বন কর্মীরা এসে কচ্ছপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে বনদফতরের অনুমান, কচ্ছপগুলি বিক্রির জন্য পাচার করা হচ্ছিল। সাধারণত শীত পড়তে কচ্ছপ পাচারকারীদের রমরমা বেড়ে যায়। সেই কারণে এই সময় কচ্ছপ পাচার রুখতে বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে আরপিএফ এবং জিআরপি। এদিন বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে চম্বল এক্সপ্রেস দাঁড়ানোর পরেই তাতে তল্লাশি চালান আরপিএফ কর্মীরা। তারপরেই কচ্ছপগুলি উদ্ধার হয়।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কচ্ছপগুলিকে উদ্ধার করার পর প্রথমে পর্যবেক্ষণের জন্য রমনাবাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে সেগুলি জলাশয় ছেড়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বর্ধমানের বন বিভাগের আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানান, এই কচ্ছপগুলি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় কচ্ছপগুলির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও মানুষ কেন সচেতন হচ্ছে না তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘কচ্ছপ পাচার বা বিক্রি বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত বনদফতরের তরফে মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি প্রচার অভিযান চালানো হয়। শুধু কচ্ছপই নয়, পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণী শিকার রুখতে আমাদের তরফে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাজার এবং এলাকায় প্রচার অভিযান চালানো হয়ে থাকে। এর আগে যখন বর্ধমান স্টেশনে যখন কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছিল তখন স্থানীয় বাজারে আমরা মাইকিং করে প্রচার চালিয়েছিলাম। স্থানীয়দের বোঝানো হয়েছিল কচ্ছপ মারা বা খাওয়া বেআইনি।’