পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিকার করা হয়েছিল সম্বর হরিণ। আর তা রান্না করে মহাভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কারণ সেখানে হাজির হলেন বন দফতরের আধিকারিকরা। গ্রামে সম্বরের মাংস দিয়ে ভোজের সেই বাড়া ভাতে ছাই পড়ল। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ইংডং বস্তিতে।
ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে? বন দফতর সূত্রে খবর, এখানে সম্বর হরিণ মেরে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বন্যপ্রাণ হত্যার অপরাধে দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪ কেজি সম্বরের মাংস। সম্বর হরিণ মেরে মাংস রান্না করা চলছিল। ধৃতরা হল, চোমে ওঁরাও এবং রানথু ওঁরাও। এদের বাড়িতেই সম্বরের মাংস রান্না হচ্ছিল।
কেন এই সম্বর হরিণ হত্যা করা হল? স্থানীয় সূত্রে খবর, হোলি–দোল উৎসবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন জঙ্গলে শিকার করেন। এটা একটা রেওয়াজ। আর সেই মাংস দিয়েই ভোজনের আয়োজন করা হয়। সেই রীতি পালন করতে গিয়েই শিকার করা হয় সম্বর হরিণ। এবার সেই রীতিতে বাগড়া পড়ল। কারণ বন্যপ্রাণ হত্যা করা আইন অনুযায়ী অপরাধ।
এই ঘটনা নিয়ে গরুমারা উত্তরের রেঞ্জ অফিসার সুদীপ দে বলেন, ‘গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা ওই গ্রামে অভিযান চালান। সেখান থেকে সম্বরের মাংস–সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ কেজি মাংস। তার মধ্যে ১০ কেজি মাংস অর্ধেক রান্না করা ছিল। বাকি মাংস কাঁচা ছিল। আজ, ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।’