রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এখন সিবিআইয়ের নজরে। বিরোধীরা ইতিমধ্যে এত টাকা খরচ করে এই স্কুল তৈরিকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই স্কুল তৈরির পিছনে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকা রয়েছে? যদিও এই ধরনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন পার্থবাবু। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রয়াত হন।
ইতিমধ্যে দু'বার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৈরি ‘বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। কে এই বাবলি চট্টোপাধ্যায়? তিনি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরে পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামে পার্থবাবুর স্ত্রীর নামে এই স্কুলটি তৈরি করেছেন পার্থবাবুর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীর কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে ওই স্কুল তৈরি হয়। এই তথ্য যে ঠিক সেকথা নিজের মুখে জানিয়ে কৃষ্ণচন্দ্র জানান, ‘সাত বিঘা জমি লিজ নিয়ে এই স্কুল গড়েছে তার ভাগ্নে। তবে স্কুলের নাম কেন শাশুড়ির নামে দিয়েছে, সেকথা তার জানা নেই।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘ভাগ্নে স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে থাকেন। তাই এই স্কুল আমি নিজেই দেখাশোনা করি। সিবিআই আধিকারিকরা তদন্তে এলে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত আছি।’ জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে দুবার এই স্কুলে এসেছিলেন।
এদিকে এই বিষয়ে পার্থবাবুর জামাইয়ের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে ওই স্কুল সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ওই স্কুল তৈরির পিছনেও কী পার্থবাবুর হাত রয়েছে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তবে এই স্কুল সিবিআইয়ের নজরে চলে আসায় স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্কুলের এক অভিভাবক জানান, ‘ভালো পড়াশোনা করতে পারবে, এটা ভেবেই মেয়ে এই স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম। সিবিআই এলে ওর ভবিষ্যৎ যে কী হবে জানি না।’