সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ফের পৃথক রাজ্য়ের দাবিকে কেন্দ্র করে সলতে পাকানো শুরু করে দিল মোর্চা। তবে শুধু মোর্চা নয়, অন্তত ১২টা সংগঠন উপস্থিত ছিল সেই বৈঠকে। কেপিপি, মোর্চা নেতৃত্বের মধ্য়ে এনিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এমনকী সমস্ত সংগঠন মিলে আলাদা করে এক ছাতার তলায় আসার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত কালচিনি ব্লকের দলসিং পাড়া গোর্খা ভবনে এই বৈঠক হয়েছে বলে খবর। সেখানে খোদ বিমল গুরুং, কেপিপির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পৃথক রাজ্য়ের দাবিতে কাছাকাছি এসেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্য়াসোসিয়েশন, কেপিপি, মোর্চা সহ একাধিক সংগঠন। ফের অন্তত ১২টা সংগঠন এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করছে। এমনকী পাহাড়ে ডুয়ার্সে দিনের পর দিন ধরে এনিয়ে আন্দোলন হয়েছে অতীতে। তবে কি আবার সিঁদুরে মেঘ ঘনাচ্ছে পাহাড়ে, ডুয়ার্সে?
তবে এবার ফের পুজোর মুখে এনিয়ে নতুন করে জিগির তোলা শুরু হয়ে গেল। তবে সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেও এনিয়ে মিটিং করেছিলেন বিমল গুরুংরা। ফের এই মিটিং। শিলিগুড়িতে ফ্রন্টের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। ইতিমধ্য়েই রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরও খোঁজখবর রাখছে।
সূত্রের খবর, ঘণ্টা তিনেক ধরে এই বৈঠক হয়েছিল। ফের উত্তরবঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তারা। তাঁদের দাবি, কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গকে শাসন করা নয়। এখানকার উন্নয়নের জন্য আলাদা রাজ্য গঠন অত্যন্ত প্রয়োজন।
এদিকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অন্তরালেও ছিলেন। পরে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তিনি দার্জিলিংয়ে ফিরে আসেন। তবে সেই হানিমুন পিরিয়ডে আপাতত ভাটা পড়েছে। ফের তিনি স্বমহিমায়।
অন্যদিকে কেপিপি একটা সময় এনিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলত। তবে গত কয়েক বছর ধরে সেই আন্দোলনও স্তিমিত।
আবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজ বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। তবে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে তিনি পুরোপুরি সরেননি।