গুলি চালানোর ঘটনা ভাটপাড়ায়। তৃণমূলের দলীয় অফিসের সামনে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নয়াবাজার এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত ওই কর্মীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। কিন্তু গুরুতর আহত ওই তৃণমূল কর্মীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ব্যারাকপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই ব্যক্তি এলাকার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী নুর আলম ওরফে সাহেব। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ঠিক কি কারণে তাঁর উপর কে বা কারা গুলি চালাল, তা জানতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, গুরুতর আহত ওই দলীয় কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে যাবেন ফিরহাদ হাকিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ন’টা নাগাদ নয়াবাজারে তৃণমূলের ওই দলীয় দফতর থেকে বের হচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী নুর আলম ওরফে সাহেব। সেই সময় আচমকা একটি বাইক তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। তাতে বসে থাকা আততায়ী নুরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তবে কয়েকটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও একটি গুলি লাগে তাঁর বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নুর। এরপর বাইকে করেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপতালে স্থানান্তর করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, এক সময় ভাটপাড়ার সিপিএম নেতা ছিলেন নুর। সেই সময় তিনি কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। পরে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। গত ২২ এপ্রিল ভাটপাড়া বিধানভায় ভোট হয়। তার আগে থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। বোমা, গুলির পর সেখানে অস্ত্র কারখানার হদিশও মিলেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে ঠিক একই কায়দায় বিজেপি’র দলীয় অফিসের সামনে গুলি করা হয় টিটাগড়ের দাপুটে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তিনি। ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার শুরু হয় গোটা এলাকায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতার খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।