পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে নানা ধরনের বিপদের সম্ভবানা থাকে। তাই বিপদ এড়াতে পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি ও খাদানগুলিকে কাজে লাগাতে চাই রাজ্য সরকার। পরিত্যক্ত খনি ও খাদানে মাছ চাষ করতে উৎসাহ দেবে সরকার। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া মৎসনীতিতে এ নিয়ে প্রস্তাবও রয়েছে। রাজ্যের এই পরিকল্পনাকে সাধুূবাদ জানালেও পরিকাঠামো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মৎস ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি।
রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা পরিত্যক্ত খনি এবং খাদানগুলিকে জলাশয়ে বদলে ফেলা হবে। রাজ্য সরকারের মৎসনীতিতে সেই রকমই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।সেই পরিত্যক্ত খনি বা খাদানে মাছ চাষ হবে। এই ক্ষেত্রে সংগঠিত ভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ টানার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।
আধুনিক পদ্ধতিতে খাঁচা তৈরি করে মাছ চাষ হবে। ২০ শতাংশের বেশি যাদের খাঁচা থাকবে তাদের প্রকল্পে এই খাঁচা তৈরির খরচে ৪০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ) দেবে রাজ্য সরকার।
মৎসনীতির (২০২৩) মুখবন্ধে বলা হয়েছে, আগে অর্থবর্ষে রাজ্যে ২০.৪৫ লক্ষ টন মাঠ উরপাদন হয়েছিল। এবার সেই পরিমাণকে বাড়িয়ে ৩৩ লক্ষ টন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ীর গত বছরে রাজ্য থেকে ১.১৭ লক্ষ টন মাছ রফতানি করা হয়েছিল। তার বেশভাগটাই চিংড়ি। এর ফলে আয় হয়েছিল প্রায় ৮হাজার কোটি টাকা।
সরকারের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মৎস ব্যবসায়ী সংগঠন। তবে তারা আশঙ্কা করছে পরিকাঠামো না থাকলে এই উদ্যোগ নিয়ে সাফল্য পাওয়া খুব মুশকিল।
(পড়তে পারেন। বড় বড় চুক্তি হয়েছে, এত সাকসেসফুল প্রোগ্রাম খুব কম দেখেছি, শহরে ফিরে দাবি মমতার)
সি ফুড এক্সপোর্টাস অ্যাসোশিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, বেসরকারি লগ্নি টানতে গেলে উদ্যোপতিদের বড় মাপের জলাশয় তুলে দিতে হবে। তা বেশ কঠিন কাজ।
তবে এই প্রকল্প হাতে নিলে মাছ রাখার জন্য হিমঘরেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সেই প্রকল্প মূলত কেন্দ্রের। রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় মতে, ‘একটি হিমঘর তৈরিতে খরচ হয় ৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত। এতে ভর্তুকি মেলে ৯০ লক্ষ পর্যন্ত। যা মূল খরচের তুলনায় অনেকটাই কম। ফলে প্রকল্পে সেভাবে সাফল্য মেলে নি। ’ এর সঙ্গে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান তিনি।
মৎস ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির মতে, পরিকাঠামোর সমস্যা কাটিয়ে উঠলেই এই প্রকল্পে সাফল্য মিলবে। এখন রাজ্য সরকার কী ভাবে পদক্ষেপ করে এখন সেটাই দেখার।