নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। গোটা দেশ জুড়ে নামডাক। ছাত্র গড়ার পীঠস্থান। মানুষ গড়ার পীঠস্থান। সেই রামকৃষ্ণ মিশনের হস্টেল থেকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। রবিবার রাত থেকে তার খোঁজ মিলছে না। ছাত্রের নাম মুক্তেশ্বর মাহাতো। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি বলে খবর।
সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই ছাত্রের অবস্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাত ১১টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে দেখা গিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ছাত্র গেট বন্ধ নাকি খোলা সেটা পরীক্ষা করে দেখছে। আবার কিছুক্ষণ পরে পিঠে ব্যাগ নিয়ে তাকে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপর সে কোথায় গেল?
একে শীতের রাত। তারপর ওই সময় মিশন সংলগ্ন জায়গা যথেষ্ট নির্জন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সে ঠিক কোথায় গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে প্রাথমিকভাবে যেটা মনে করা হচ্ছে, হস্টেলের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে সে নীচে নামে। এরপর ক্যাম্পাসের মধ্য়ে থাকা হাসপাতালের কাছে যে পাঁচিল রয়েছে সেটা বেয়ে সে উঠে যায়।
পরের দিন ভোরবেলা দেখা যায় ওই ছাত্র যেখানে শুত সেখানে সে নেই। ভোর সাড়ে পাঁচটায় বিষয়টি জানা যায়। এরপরই খোঁজ খোঁজ পড়ে যায়। ওই ছাত্র সঙ্গে করে চাদর, গামছা, দুজোড়া স্কুল ইউনিফর্ম, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ নিয়ে গিয়েছে। পিঠে ব্যাগ নিয়ে সে পালিয়ে যায়। পরনে লালরঙের ইনার ও নেভি ব্লু রঙের প্যান্ট।
কিন্তু কোথায় গেল ওই ছাত্র? এদিকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন অত্যন্ত ছাত্রদরদী বলেই পরিচিত। মেধাবী ছাত্ররা ভর্তি হয় এখানে। রীতিমতো ঝাড়াই বাছাই করে এই হস্টেলে ভর্তি করা হয়। আর সেখান থেকেই পালিয়ে গেল ছাত্র। সূত্রের খবর, ওই ছাত্র পাঁচিল টপকে হস্টেল থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। এমনকী সোমবার সকালে হাওড়া স্টেশনে আটটা পাঁচ মিনিটের মেদিনীপুর লোকালে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সে বাড়ি যায়নি বলে খবর। সেক্ষেত্রে কোথায় সে গেল তা নিয়ে নানা ধন্দ দেখা দিয়েছে।
এবার প্রশ্ন কোথায় গেল ওই ছাত্র? এদিকে ওই ছাত্রের বাবা মা মিশনে এসেছিলেন। তারাও খোঁজখবর করছেন। মিশন থেকেও ওই ছাত্রের বাড়িতে গোটা বিষয়টা জানানো হয়েছে।