বাগুইআটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা কোনও 'রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব' নয়। দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে খুন বলে জানিয়েছেন বিধাননগরের ডিসি, ঐশ্বর্য সাগর। তিনি জানান মদ খেয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষ হয়। পুরনো শক্রতার জেরেই এই খুন বলে দাবি পুলিশের। ডিসি আরও জানিয়েছেন মৃত সঞ্জীবের বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে সঞ্জীবের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ পুলিশ। তাদের দাবি দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠী মদ খেয়ে এই অশান্তি করেছে।
বাসিন্দারাই জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন ইটের আঘাত পান সঞ্জীব ওরফে পটলা। তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন তাঁকে মারধর কর হয়। তাঁকে বাঁশ লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
আরও পড়ুন। বাগুইআটিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, নামল র্যাফ, আটক ১৩
আরও পড়ুন। পরপর ৪টি গাড়ির ধাক্কা, লরির নিচে চাপা পড়ে আহত ১৬, পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত ১
ঘটনার পর স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে র্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরে পুলিশের আশ্বাসে শান্ত হন এলাকাবাসী। তবে তারপরেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকে। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে সঞ্জীবকে খুন করা হয়েছে। তার জন্য রাস্তার আলো নিভিয়ে দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়।
বিধানগরের ডিসি দাবি করেছেন থানায়, অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুদফায় সংঘর্ষ হয় এলাকায়। প্রথম দফায় সংঘর্ষ থেমে গেলেও রাতে আবার সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। সংঘর্ষে আহত হয় সঞ্জীব। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন। কলকাতা স্টেশনে উদ্ধার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা, পাচারের আগেই ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক