SSC-র প্রকাশিত ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। অথচ পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছেন তিনি। এই দাবিতে বুধবার হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন সিউড়ির বাসিন্দা তৃষা মণ্ডল নামে ওই চাকরিপ্রার্থী। তাঁর মায়ের দাবি, কী ভাবে নম্বরে কারচুপি হল আমরা জানি না।
বৃহস্পতিবার সিউড়ির বড়বাগানে তৃষাদেবীর বাড়িতে হানা দেন সাংবাদিকরা। তাদের মুখোমুখি হন অভিযুক্ত শিক্ষিকার মা। তিনি জানান, তৃষাদেবী সদ্য মা হয়েছেন। ফলে অন্য জায়গায় আছেন। সেপ্টেম্বর থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে জালিদের তালিকায় নিজের নাম দেখে হতবাক তিনি।
বুধবার কমিশনের তরফে ভুয়োদের নামের সঙ্গে OMR শিটও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৫৫টির মধ্যে ৪৬টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তৃষা মণ্ডল। সবকটি প্রশ্নের উত্তর ঠিক বলে ধরে নিলেও তাঁর ৪৬ নম্বর পাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি পেয়েছেন ৫৩।
তৃষা মণ্ডলের মা বলেন, ‘কী করে নম্বর বাড়ল আমরা কিছুই জানি না। আমরা কাউকে টাকা দিইনি। মেয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। কী করে মেয়ের নাম ভুয়োদের তালিকায় এল তা জানতে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। যা বলার হাইকোর্টে বলব।’
২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদের কাশিমনগর হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেছিলেন তৃষা মণ্ডল।