কেন্দ্রের অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচির নাম বদলে 'চোখের আলো' করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার টুইট করে এমনই অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবারই 'চোখের আলো' প্রকল্পের সাফল্যের কথা নিজের টুইটে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে শুভেন্দু টুইটে দাবি করেছেন, কেন্দ্রের অর্থ সাহায্যেই চোখের চিকিৎসা হয়েছে।
'চোখের আলো'-র সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,'এই প্রকল্পে ১০ লক্ষ মানুষের চোখের ছানি অপরারেশন হয়েছে। ১৫ লক্ষ বয়স্ক ও অবয়স্ক মানুষ চাশমা পেয়েছেন।'
শুভেন্দু লিখেছেন,' চোখের আলো' হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরেকটি স্পিন-অফ প্রকল্প (প্রকল্পের নাম বদল করে চালানো)। কেন্দ্রীয় সরকারের 'অন্ধত্ব ও দৃষ্টির প্রতিবন্ধকতা নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচিতে 'স্টিকার' লাগিয়ে অন্ধত্বের দূরীকরণের লক্ষ্যে পুনরায় চালু করা হয়েছে।'
(পড়তে পারেন। আগামী এপ্রিল থেকে POS মেশিনের সাহায্যে পার্কিং ফি নেবে কলকাতা পুরসভা)
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১০ লক্ষ ছানি কাটানো এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেপি নড্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এর পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা এতটাই 'অদক্ষ' যে তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া প্রকল্পের অর্থ পুরোটা ব্যবহারই করতে পারেনি। বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, '২০২১-২২ সালে অন্ধত্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচির অধীনে অনুমোদিত পরিমাণ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার তার ২১.২ শতাংশ অর্থাৎ ৯.৭৫ কোটি টাকা ব্যবহার করতে পেরেছে।'
টুইটের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রও তুলে দিয়েছেন।