রাজ্যজুড়ে পুলিশ আধিকারিক এবং আমলাদের বদলি করেছে সরকার। সবমিলিয়ে ৩১ জন আইপিএস এবং ২০জন আইএএস অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তাঁর রাজকীয় বিদায়ী অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। পূর্ব বর্ধমানের একটি হোটেলে তাঁর বদলির পূর্বে রাজকীয় বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুলিশ সুপারের গাড়ি দড়ি দিয়ে টানতে এবং ফুল ছড়াতে দেখা গিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো এক্সে (টুইটারে) শেয়ার করে প্রভু জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রার সঙ্গে তুলনা টেনে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: তোলা দেবেন না, কে কত বড় গুন্ডা দেখতে চাই, প্রকাশ্য মঞ্চে বিস্ফোরক পুলিশ সুপার
বিরোধী দলনেতা এই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে ভোট লুট এবং বুথ কারচুপিতে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক দক্ষতায় মুগ্ধ রাজ্য সরকার। এখন প্রশাসন তাঁর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে হুগলি জেলার বালি খনিগুলি পরিচালনা করতে চায়। যাতে তৃণমূল নেতৃত্বের অবৈধ বালিখনিগুলির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে।’
শুভেন্দুর বক্তব্য, বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতেই পারে। তবে তিনি যেভাবে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘রথযাত্রার সময় ভক্তরা যেভাবে ভগবান জগন্নাথের রথকে টেনে নিয়ে যান, একইভাবে পুলিশ সুপারের গাড়িও দড়ি দিয়ে টানা হচ্ছিল। ভক্তদের জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়াররা ছিলেন।’ এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, সিভিক ভলেন্টিয়াররা মাত্র ৯ হাজার টাকা বেতন পান। গ্রামীণ পুলিশ কর্মীদের গত ১০ বছরে বেতন বাড়েনি। আবার কনস্টেবলদের ৩৬ শতাংশ ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এরপরেই তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দু লেখেন, ‘নিজেকে কী মনে করেন? পূর্ব বর্ধমান জেলার রাজা! এখন হুগলি জেলায় গিয়ে তার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন? এই ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ লজ্জাজনক এবং আপত্তিকর অনুষ্ঠানকে ধারণ করেছে, একজন ব্যক্তি যিনি পাবলিক সার্ভিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন তাঁর কাছে এই ধরনের আচরণ মোটেই প্রত্যাশা করা যায় না।’