কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে আজ ফের একবার সন্দেশখালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে আজ আবারও সন্দেশখালিতে ঢুকতে পারলেন না তিনি। ধামাখালিতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে। এই আবহে শুভেন্দু ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশকে। বাধা পেয়ে পুলিশ আধিকারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমি আদালতের উদ্দেশেই সন্দেশখালি এসেছি। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করব। তারপরই আদালতের উদ্দেশে রওনা দেব।' পরে হাই কোর্টের তরফ থেকে শুভেন্দু এবং শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যেতে দিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে পুলিশও সন্দেশখালি যাচ্ছে। এদিকে শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, আজ সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বাম নেত্রী বৃন্দা কারাট। (আরও পড়ুন: একই টোকেনে মেট্রো করে হাওড়া ময়দান থেকে যাওয়া যাবে রুবি, খসবে কত টাকা?)
আরও পড়ুন: 'যান্ত্রিক ভুলে' নিস্ক্রিয় হচ্ছে আধার, মওকা বুঝে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে জালিয়াতরা
আজ শুভেন্দুর সঙ্গে সন্দেশখালির পথে ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, কাঁথি উত্তরের বিধায়ক সুমিতা সিংহ, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল ও কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা। পুলিশি বাধার মুখে ধামাখালি ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তাতেই বসে পড়েন শুভেন্দুরা। তুলতে থাকেন স্লোগান। এদিকে সন্দেশখালির খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনারও প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির পথে পা বাড়ান শুভেন্দু ও শঙ্কর ঘোষ।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ১২ জায়গায় আজ নতুন করে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর আগে সোমবারই সন্দেশখালিতে জারি থাকা ১৪৪ ধারার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই আবহে আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে আজ সন্দেশখালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন শুভেন্দু। তবে আদালত জানিয়েছিল, শুভেন্দু এবং শঙ্কর সন্দেশখালি যেতে পারলেও বিজেপির দলীয় কর্মীরা যেতে পারবেন না সেখানে।
সন্দেশখালিতে যাওয়ার যে পাঁচটি ঘাট রয়েছে, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়। ধামাখালিও সেই ঘাটগুলির অন্যতম। সেখানেই বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু। এছাড়া ত্রিমোণী বাজার, পাত্রপাড়া, সন্দেশখালি ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, গাববেড়িয়া বাজার-সহ সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় আজ সকালে।
এর আগে অশান্তি ছড়াতেই গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। পরে আদালতের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় সন্দেশখালির ৭টি পঞ্চায়েতের ১৯ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য দাউদপুর, গোপালের ঘাট, পুলেপাড়া, আতাপুরের থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয় পরে। তবে বাকি জায়গায় জারি থাকে ১৪৪ ধারা। এরপর শেষ পর্যন্ত সোমবর উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর সন্দেশখালির সব জায়গার ১৪৪ ধারাই স্থগিত করা হয়। তবে মঙ্গলবার আবারও নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হল সন্দেশখালির বেশ কিছু জায়গায়।