জলের জন্য জেরবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত বড়োল গ্ৰামের বাসিন্দারা। তীব্র গরমে গত তিন মাস ধরে জলকষ্টে ভুগেছে গোটা গ্রাম। একা বালতি পানীয় জল জোগাড় করতে গিয়ে দাঁত খোয়াতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। কারও ফাটছে কপাল, ঠোট নাক।
তীব্র গরমে জলস্তর মাটির নীচে নামায় ফলে জল উঠছে না গ্রামের নলকূপগুলিতে। হাতলে জোর জোরে চাপ দিয়ে জল তুলতে গিয়ে ঘটছে বিপত্তি। হাতল ছিঁটকে এসে মুখে লেগে ভাঙছে দাঁত। কারও ফাটছে কপাল, ঠোট। গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস। প্রত্যেকটি পাড়াতেই একই সমস্যায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা। গরমে পুকুরের জল শুকিয়েছে। যেটুকু ঘোলা জল আছে তাতে বাসন মাজা ও কাপড় কাচার কাজ করছেন গ্রামবাসীরা। বাচ্চারাও ওই পুকুরের জলে স্নান করছে।
স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়,'বারবার হালত টিপলেও নলকূপ দিয়ে জল আসছে না। ফলে জল পাওয়ার জন্য জোরে চাপ দিতে হচ্ছে। সেই সময় হাত ছিটকে এসে দাঁতে, কপালে বা মাথা লাগছে। নোংরা ঘোলা জলে গ্রামের বাচ্চার স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।'
গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি চাষের জমিতে জল দেওয়ার জন্য বসানো মিনি পাম্প থেকে পানীয় জল আনছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও প্রতিকার হয়নি। তাঁরা এলাকায় সাব মারসিবল বাসানোর দাবি তুলেছেন। সেই দাবি যদি অবিলম্বে পূরণ না হয় তবে আগামী দিনে তাঁরা আন্দোলনের পথে যাবেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
(পড়তে পারেন। মমতা–অভিষেককে আবার কি এক জেলায় দেখা যাবে? মালদা সফরে সম্ভাবনা প্রবল)
প্রসঙ্গত, এই জল সঙ্কট শুধু মালদার কিসমত বড়োল গ্ৰামেই নয়। জেলার একাধিক গ্রামের এই সমস্যা রয়েছে। বুধবারই মালদা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। এই সঙ্গে ওই সময় মালদাতেই থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের আশা এই জলসঙ্কট দূর করতে কোনও ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।