বাবার সরকারি চাকরি পেতে বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্ডাল থানা এলাকার শ্যামসুন্দরপুরের। নিহত আড়ি মিয়া (৫৯)কে খুনের অভিযোগে ছেলে আবদুল হাকিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই খুনের পিছনে আর কী কারণ রয়েছে জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামসুন্দরপুরের বাসিন্দা ECL কর্মী আড়ি মিয়া গত ২০ জানুয়ারি কাজ থেকে ফিরে গল্পগুজব করতে বাড়ি থেকে বাজারের দিকে রওনা হন। ২৩ জানুয়ারি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত থেঁতলানো দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের পরিচয় গোপন করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মুখ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের পর থেঁতলানো হয়েছে মাথা।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে আড়ি মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ঘটনার সময় সে কোথায় ছিল এই প্রশ্নের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম উত্তর দিতে থাকে সে। লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মৃতের ছেলে জানায়, বাবার সরকারি চাকরি নিজে পেতে বাবাকে খুন করেছে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জানিয়েছে, ৩ মাস পরেই অবসর নেওয়ার কথা ছিল বাবার। এখন বাবার মৃত্যু হলে আড়ি মিয়ার সরকারি চাকরি সে পাবে বলে ধারণা ছিল ছেলে আবদুল হাকিমের। তাই বেশ কিছুদিন ধরে বাবাকে খুনের পরিকল্পনা করছিল যুবক। ঘটনার দিন বাবাকে ভুলিয়ে জঙ্গলে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় সে। এর পর নিজের কাছে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বাবাকে। মৃতদেহের পরিচয় লুকাতে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় মাথা। পরদিন নিজেই থানায় গিয়ে বাবার নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে।
ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে এই খুনে আর কেউ জড়িত কি না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।