বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক–বিরোধীর মধ্যে খেলা জমেও উঠেছে। দল ভাঙিয়ে বিরোধী পক্ষ হুংকার ছাড়লেই পালটা শাসক পক্ষ দুর্নীতির নথি সামনে এনে সেই হুংকারের জবাব দেওয়ার পন্থা দিয়েছে। বাংলার রাজনীতি এখন কৌশলের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে কেন্দ্রও যেমন নিজেদের কাজের ফিরিস্তি দিচ্ছে, তেমন রাজ্যও ফিরিস্তি তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দফতরের বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব মেদিনীপুরে রামনগরের সভায় জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘শুধু পরিবহন দফতরে ৭২৫ কোটি টাকার দুর্নীতির ফাইল সামনে এসেছে।’
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে তাঁকে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে অভিযোগ শানাচ্ছেন। এই প্রথম তৃণমূলের মঞ্চ থেকে শুভেন্দুকে ইঙ্গিত করে দুর্নীতির বড় অভিযোগ আনা হল। বিজেপির অবশ্য দাবি, এটা শুভেন্দুকে কৌশল করে ফাঁসানোর চেষ্টা। তৃণমূলনেতা অখিলবাবু নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগে সরব হন। তাঁর মন্তব্য, ‘বহু জায়গায় ফ্ল্যাট কিনেছে। কাঁথিতে চারটে ফ্ল্যাট। কলকাতায় পাঁচটি ফ্ল্যাট। সব কেলেঙ্কারি বেরোচ্ছে। তৃণমূলে ছিলে, ১০ বছর ধরে পাইলট কার, হুটার বাজিয়ে গাড়ি নিয়ে ঘুরেছ। ৪০ জন পুলিশ পাহারা দিয়েছে। দলের খেয়ে বড় হয়েছ। এখন বেইমানি করছ।’
শনিবার অখিল বলেন, ‘আমি নাম ধরতে চাই না। তবে তোমাকে চ্যালেঞ্জ করছি, নন্দীগ্রাম নয়, দক্ষিণ কাঁথি থেকে দাঁড়াও। যদি তুমি জিততে পার, বুঝব তোমার অনেক ক্ষমতা।’ উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক ধরে উত্তপ্ত রামনগর। বিজেপি কর্মীরা রামনগর কলেজের সামনে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল দু’দিন আগে। তারই প্রতিবাদে রামনগর কলেজের সামনে সভা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।