চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে এলাকা থেকে বেপাত্তা তৃণমূল কাউন্সিলর। কামারহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিমল সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে দক্ষিণেশ্বর থানায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন বিমল সাহা। গত কয়েক মাস ধরে আর তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে একদিকে যেমন টাকা ফেরতের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ, তেমনই পৌর পরিষেবা পেতে নাজেহাল হচ্ছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এই ওয়ার্ডে নিম্নবিত্ত মানুষের বাস। নানা কারণে তাদের কাউন্সিলরকে দরকার হয়। কিন্তু কাউন্সিলরের দেখা নেই। তাঁর অফিসও বন্ধ। মানুষ যাবে কোথায়? এই জন্য ওনাকে আমরা ভোট দিয়েছিলাম।
সরকারি কর্মীকে বেঁধে রাখা হল রেললাইনে, ট্রেনে কাটা গেল পা, কেতুগ্রামে শিহরণ
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি। এই ধরণের দুর্নীতিতে জড়িতদের পাশে দল থাকবে না। আমি দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকেছি। সেখানে যা বলার বলব।’
ওদিকে বিজেপির দাবি, দিদির শাসনে কাউন্সিলরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষকে পুরপ্রধানের কাছে অভিযোগ জানাতে হচ্ছে। আর কী কী দেখব?
সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, ভোট লুঠ করে জিতে মানুষের টাকা লুটে পালিয়েছে বিমল সাহা। তৃণমূলের জমানায় সবই সম্ভব। এরাই তৃণমূলের সম্পদ। মুখে মদনবাবু যাই বলুন শেষে এরাই দলে পুরস্কৃত হবেন। এই পুলিশের ওর গায়ে হাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। পুলিশ তো ধরবে নীরিহ চাকরিপ্রার্থীদের।