আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে নব জোয়ার পালন করতে এলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানের হরিরামপুর হাইস্কুল মাঠে জনসভাও করেন। আর এখান থেকেই বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন তিনি। এখানেই ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ টাকা না পাওয়া নিয়ে cকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতিকেই দায়ী করেছেন।
এদিন সভাস্থল ছিল কানায় কানায় ভর্তি। আর সেখান থেকে দাঁড়িয়ে অভিষেক কড়া ভাষায় সুকান্তকে বিঁধে বলেন, ‘২০১৯ সালে অর্পিতা ঘোষ প্রার্থী হয়েছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম উনি জিতবেন। কিন্তু উনি প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে হেরে যান। আর সুকান্ত মজুমদার জিতে যান। সাংসদ হওয়ার পরে তিনি হয়ে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু এই জেলার মানুষের স্বার্থে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে তিনি বলেননি। উনি একটাও চিঠি কেন্দ্রকে লেখেননি ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য। বরং আটকে দিতে চিঠি লিখেছেন। যাঁদের ভোটে উনি সাংসদ হয়েছেন তাঁদেরকেই বঞ্চিত করেছেন। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনে নিজের অধিকারের কথা মাথায় রেখে ভোট দেবেন।’
এদিকে বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন অভিষেক। এমনকী নয়াদিল্লিতে গিয়ে বড় আন্দোলনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে তার জন্য মানুষকে তাঁদের পাশে থাকতে হবে বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘এঁদের গায়ে জ্বালা হচ্ছে। কারণ বাংলার মানুষ এঁদের ল্যাজেগোবরে করে হারিয়েছে। তাই এরা বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমার উপর রাগ করে, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে না পেরে, মানুষের ওপর কেন প্রতিশোধ নিচ্ছেন? সুকান্তবাবু, শুভেন্দুবাবু, দিলীপবাবুরা আমাকে গালাগাল দিচ্ছেন রোজ, দিন। ১০টার বদলে কুড়িটা দিন। তবে বাংলার মানুষের টাকা ছেড়ে দিন।’
আর কী বলেছেন অভিষেক? এই জনসভা থেকে সুকান্ত মজুমদারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘চার বছর সাংসদ রয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রয়েছেন। অথচ এই জেলার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেননি। কেন্দ্র থেকে বড় কোনও প্রকল্প আনেননি। মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখেননি। শুধু ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারকে বলব, এই ছ’টা জেলার বিধানসভায়, ছ’রাত কাটান, তার পর অন্য কথা হবে।’