ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল অনুব্রত মণ্ডলের। ১৪ দিন জেলে থাকতে হবে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। গরুপাচার মামলায় সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ মে।
হুইল চেয়ারে করে সোমবার শুনানিতে পৌঁছন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর পরনে ছিল সাদা রঙের ফুল ছাপ টি-শার্ট। হুইল চেয়ারে করে এদিন তাঁকে হতাশ মুখে বেরোতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের দেখে তিনি শুধু বলেন,'শরীর ভালো নেই।' আদালতেও তিনি বিচারককেও সেই একই কথা বলেছেন। তাঁর শরীরের হালহকিকত বোঝার জন্য বিচারক রঘূবীর সিং অনুব্রতর মেডিক্যাল ফাইল আনতে বলেন।
এদিকে তাঁকে আসানসোল জেলে পাঠানোর জন্য আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদনের শুনানি রয়েছে আগামী ৮ মে। দিল্লি হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করছে অনুব্রত আইনজীবী।
তিনি যে ভালো নেই এর আগেও আদালতে এবং সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, 'আমার শ্বাস কষ্ট রয়েছে।' দু'দফায় ইডি হেফাজতে থাকার পর তাঁকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ইনহেলার এবং নেবুলাইজার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে গরু পাচার মামলায় বোলপুর নিচুপট্টিতে নিজের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মেলে। তাঁকে প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখার পর দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা শুরু করে ইডি। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। সেখানে বীরভূম জেলা সভাপতি আগামী ১৪ দিন থাকবেন।