বর্ধমান স্টেশন চত্বরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমুল নেতা গোলাপ সোনকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে বর্ধমান স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা। একাধিক গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা গোলাপ সোনকারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রথমে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্ৰেফতার করে। ধৃত তৃণমূল নেতাকে আজ বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত ১২ টা নাগাদ রণক্ষেত্র চেহারা নেয় বর্ধমান স্টেশন চত্বর। সেখানে একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাপ সোনকারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে রবিবার রাত ১২টায় লাঠি নিয়ে এসে হঠাৎ ভাঙচুর বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। বেশ কয়েকটি চারচাকা গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা ইফতেখার আহমেদ ওরফে পাপ্পু এবং গোলাপ সোনকারের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। তাদের এই বিবাদ এদিন বড় আকার ধারণ করে। তার ফলস্বরূপ রাতের বেলায় বর্ধমান স্টেশনে ডোকার মুখে কয়েকটি দামি চারচাকা গাড়ি এবং বাইক ভাঙচুর করা হয়। যদিও ইফতেখার আহমেদ দাবি করেছেন, যারা ভাঙচুর করেছে তারা একটা সময় বিজেপি করত। রাতের অন্ধকারে চুরি ডাকাতি করে। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলেই মারধর করা হয়।
সেই ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমুল নেতা গোলাপ সোনকারকে সোমবার গ্ৰেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্ত গোলাপ সোনকারকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয়। বর্ধমান থানা থেকে অভিযুক্তকে বার করার সময় তাকে কেন গ্ৰেফতার করা হল? এবিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইফতেকার আহমেদ ওরফে পাপ্পুর নির্দেশে তাকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। দল পাশে আছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এই ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ইফতেকার আহমেদের অনুগামীরা একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup