বিধানসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই বিদ্রোহ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। বিভিন্ন জায়গায় দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সোচ্চার হতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। এবার তেমনই বিদ্রোহের সুর শোনা গেল বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মিত্রের গলায়। দলের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা ও রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করলেন তিনি। যা নিয়ে তৃণমূল ভবনে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্যামল সাঁতরা।
চলতি সপ্তাহেই বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কমিটিতে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। বদলে গিয়েছে অধিকাংশ ব্লক সভাপতি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা কমিটি ঢেলে সাজিয়েছে তৃণমূল। তার পর কয়েকঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভাইরাল হল বিপ্লববাবুর বিদ্রোহ।
ভাইরাল ভিডিয়োয় বিপ্লববাবুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গত ৫ বছর ধরে মানুষের জন্য কিচ্ছু করেননি রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি। কাউকে একটা চাকরি দেয়নি। উলটে নিজের গাড়ি, বাড়ি করেছে। ৪০ বিঘা জমি নিজের নামে করে নিয়েছেন বিধায়ক ও তাঁর স্বামী।’
জয়ন্তবাবুর দাবি, ‘দল তাঁকে আর টিকিট দেবে না বুঝে এবার শ্যামল সাঁতরার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। কাজের মানুষদের সরিয়ে কিছু দালালকে দলে ঢোকানোর চেষ্টা করছে সে। যদিও তাতে সফল হয়নি।’
এই নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি। বিজেপির জেলার নেতা শ্যামল সরকার বলেন, ‘এটা তৃণমূলের কালচার। একজন আরেকজনকে চোর বলছে। ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে গিয়েছে। এদের কোথাও কিছু নেই। মানুষ এসব আগে থেকেই জানে।‘
এই নিয়ে রবিবারই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে অভিযোগ জানিয়েছেন শ্যামল সাঁতরা ও জ্যোৎস্না মান্ডি। সঙ্গে পাঠানো হয়েছে ভিডিয়ো ক্লিপিংটিও।