ভোটের মুখে সমাজ বিরোধী এবং সরকার বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠল পুলিশের এক ওসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করে মারধর করেছেন। এই অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে এবিষয়ে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছেও এবিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। শমসেরগঞ্জ থানার ওসি প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। ভোটের মুখে এই বিষয়টিকে ঘিরে মুর্শিদাবাদে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুনঃ সামশেরগঞ্জে নির্বাচনের প্রচার শুরু, বিধি মেনে চলছে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ
মঙ্গলবার শমসেরগঞ্জের ডাকবাংলো বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধায়ক। সেখানে তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। জানা গিয়েছে, দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যর স্বামী ইউসুফ শেখ পেশায় একজন লেবার কন্ট্রাক্টর। অভিযোগ, কয়কদিন আগে মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী পাকুড় স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় পুলিশ তাঁকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর পুলিশ তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এক পুলিশ আধিকারিক, থানার গাড়ির চালক এবং ৪ সিভিক ভল্যান্টিয়ার মিলে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। বিধায়কের অভিযোগ, ইউসুফ একজন লেবার কন্ট্রাক্টর হওয়ায় শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠান। ওইদিন তিনি শ্রমিকদের ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার পর ফিরছিলেন। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে এমনভাবে মারধর করা হয় যে এরফলে তাঁর চোখ থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক এবং আক্রান্তের পরিবার।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, উনি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার পাশাপাশি পুলিশের গাড়ির চালককে গালিগালাজ করেছেন। একইসঙ্গে মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, ট্রাফিক আইনে অভিযুক্তকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
তবে তা মানতে চাননি বিধায়ক। তাঁর দাবি, ওসি সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর মদতে এলাকায় অনেক সমাজবিরোধী কাজ হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই শাসকদলের নেত্রীর স্বামীকে গ্রেফতার করে মারধর করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধায়ক। এপ্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, পুলিশের কাজ সমাজকে অপরাধ মুক্ত রাখা। যিনি এই অভিযোগ করেছেন তিনিই পুরোটা ব্যাখ্যা করতে পারবেন।