কোচবিহারের শীতলকুচিতে হাড়হিম কাণ্ড পঞ্চায়েত ভোটের আগে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ও মেয়েকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হল সেখানে। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করতে পেরেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত পঞ্চায়েত সদস্যর নাম নীলিমা বর্মন। ঘটনায় তাঁর আরও এক মেয়ে গুরুতর ভাবে জখম। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বর্তমানে। এদিকে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হল, তা খতিয়ে দেখতে আটক তিন জনকে জেরা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: রবিতে সল্টলেক থেকে গঙ্গার নীচে দিয়ে হাওড়া ময়দান যাবে মেট্রো, হবে ট্রায়াল রান)
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ভোর রাতে শীতলকুচির হাসপাতাল পাড়ায় নীলিমার বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। অনেকেই সেখানে যান সেই আওয়াজ শুনে। সেই সময় রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির চার সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা একজনকে ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ পরে আরও দু'জনকে আটক করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে। এই আটক ব্যক্তিদের জেরা করেই পুলিশ বোঝার চেষ্টা করছে যে রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বদল প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য নির্ধারণী ফর্মুলায়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কমবে জ্বালানির দাম
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে উত্তরবঙ্গ। কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী-স্ত্রী। ২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। সেই সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্য়ায়ের ভাই সুবোধবাবু। তিনি একসময় জলপাইগুড়ি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন। ৬ বছর আগে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়িতে শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল। এহেন দম্পতির মৃত্যুর রহস্য ভেদ হওয়ার আগেই ফের রহস্য উত্তরবঙ্গে।