মামাকে বিষ খাই খুনের পর পুঁতে ফেলার ফন্দি ছিল ভাগ্নের, ফাঁস করল ১০ বছরের মেয়ে

বিপুলের ১০ বছর বয়সী মেয়ে প্রতিবেশীদের জানায়, পয়লা বৈশাখের দিন দাদুকে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে মেরে ফেলেছে বাবা। শুনে বৃহস্পতিবার নদিয়ার রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্পে বিপুলের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু বাধা দেন বিপুল।

কুপার্সে অভিযুক্তের রান্নাঘর।

জমি বিক্রির টাকার লোভে মামাকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করল ভাগ্নে। ঘটনা নদিয়ার রানাঘাট লাগোয়া কুপার্স পুরসভা এলাকার। নিহত মন্টু শিকদার (৫৫)-এর দেহ ভাগ্নে বিপুল মণ্ডলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাছাকাছি থাকতেন মামা ও ভাগ্নে। নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি জমি বিক্রি করে ১৮ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন মন্টুবাবু। সেই টাকার ওপর নজর ছিল বিপুলের। এরই মধ্যে পয়লা বৈশাখ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পাড়া প্রতিবেশীদের বিপুল জানায়, মামা ভেলোরে চিকিৎসা করাতে গিয়েছে। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ করতে না পারায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।

এরই মধ্যে বিপুলের ১০ বছর বয়সী মেয়ে প্রতিবেশীদের জানায়, পয়লা বৈশাখের দিন দাদুকে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে মেরে ফেলেছে বাবা। শুনে বৃহস্পতিবার বিপুলের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু বাধা দেন বিপুল। এর পর পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশকর্মীরা এসে দেখেন, বাড়ির রান্নাঘরে বিশাল গর্ত খুড়ে রেখেছে সে। বিপুলের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় মন্টবাবুর দেহ। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা।

ঘটনায় বিপুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্টুবাবুর দাদা। জেরায় অভিযুক্ত শিকার করেছে, মামার সম্পত্তির লোভেই তাঁকে খুন করেছে সে। ১৮ লক্ষ টাকার জমি বিক্রির পরেও বেশ কিছুটা জমি ছিল মামার কাছে। টাকা ও জমি দখল করতেই মন্টুবাবুকে খুন করেছে সে। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর সাজা দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। দেহ উদ্ধার করে রানাঘাটে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।