অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর জন্য লাগবে ঠাকুরনগরের কামনা সাগরের জল ও মাটি। রীতিমতো কাঁসর–ডঙ্কা বাজিয়ে সে সব পাঠান মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তরা। কিন্তু সেই জল–মাটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রত্যাখ্যান না মানতে পেরে ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া সমাজের মধ্যে। জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ এবং ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য শান্তনু ঠাকুরকে। কারণ, তিনিই মতুয়াদের পুণ্যভূমির জল ও মাটি তুলে দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদের হাতে।
কিন্তু অযোধ্যা থেকে জল–মাটি কেন ফিরিয়ে দেওয়া হল জানতে চাওয়ায় বিজেপি–র উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বর কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। তবে এ নিয়ে মুখ বন্ধ রাখবেন না বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেত্রী প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘মতুয়াদের এভাবে অপমান করা হল কেন? জবাব দিতেই হবে আরএসএস–কে।’ বিজেপি–র বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতিবাদের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন মতুয়ারা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও মতুয়া মহাসঙ্ঘের পৃষ্ঠপোষক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘এই অপমান মানতে পারছি না। এভাবে মতুয়াদের অসম্মান করার অধিকার শান্তনুকে কে দিয়েছে?’ যদিও ফেসবুক লাইভে এসে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় ঠাকুরনগরের জল–মাটি নিয়ম মেনেই কাজে লেগেছে।’