আগামী ৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভায় জমায়েতের দায়িত্ব নিয়েছেন খোদ মহকুমাশাসক (বিডিও)। বিডিও খুলে ফেলেছেন হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ। আর সেই গ্রুপ থেকে লোক ভরানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এই অভিযোগ নিয়ে যাতে কোনও সন্দেহ না থাকে তার জন্য সামনে নিয়ে আসা হল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে পাঠানো নির্দেশের সেই স্ক্রিনশট। তৃণমূল কংগ্রেসের অবশ্য বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই। আগামী ৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে তমলুকে এলেও দিঘা যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে জগন্নাথ ধামের কাজকর্ম নিয়ে খোঁজ নেবেন তিনি। তমলুকে নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাজুড়ে পথশ্রী তিন প্রকল্পের প্রায় দেড় হাজার কিমি রাস্তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সেতু উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনকে দলের কাজে ব্যবহার করছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও’র একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এসএইজি গ্রুপের যে সংঘ রয়েছে সেই সংঘগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে বাসে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল ভরাতে নিয়ে যেতে হবে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: রাজভবনে ফিরতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, উঠবে নানা ইস্যু
অন্যদিকে এই অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এমন কাজ কিছু ঘটেনি বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের দাবি, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তমলুকে আসছেন। সাধারণ মানুষ সেখানে যেতে চাইছেন না। তিনি তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিককে সামনে রেখে সভা ভরাতে চাইছেন। আমাদের জেলার ডিএম তাঁর অধঃস্তনদের এমনই নির্দেশ দিচ্ছেন। বাধ্য করছেন বাস–গাড়িতে করে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে।’
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস যে পরিমাণ সাধারণ মানুষের জন্য সামাজিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে তাতে এমনিতেই যে কোনও সভায় ভিড় হয়। প্রশাসনিক অফিসারকে এসব করতে হয় না বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। ইতিমধ্যেই সব কটি সভায় ভিড় উপচে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তা দেখতেও পেয়েছেন। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, ১০টি ব্লক থেকে ৪২৬টি বাসে ২১,৩০০ মানুষকে নিয়ে যেতে হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাল্টা জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সভা হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায়। সেখানে এমনই মানুষজন ভিড় করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়নি। ভিড় এমনিতেই ১ লক্ষও ছাড়িয়ে যাবে।’