আজ, বুধবার হাওড়া জেলার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসের সভায় বক্তব্যের শুরতেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, জ্বর নিয়েই কথা বলছেন। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট আছে। তার আগে একদিনেই ঠিক হয়ে যাবেন। আজ হাওড়া জেলা জুড়ে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে লজিস্টিক হাব তৈরি করছে অ্যামাজন। আগামীদিনে আরও শিল্প সংস্থা এই জেলায় শিল্পস্থাপন করতে চলেছে। তার জেরে আগামী দিনে হাওড়ায় আরও দেড় লক্ষের বেশি ছেলেমেয়ের চাকরি হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে ১১টি বাস টার্মিনাস, ১৫টি জেটি এবং ১৫টি ফেরি সার্ভিস, ৫৬টি নতুন বাস এবং ২৬০টির বেশি বাস পাইপলাইনে রয়েছে। যা আগামীদিনে শহর থেকে জেলার পথে নামবে। বুধবার সাঁতরাগাছিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যে হাওড়ায় সাড়ে ৫ হাজার শিল্পে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। চাকরি হয়েছে ৬৭ হাজার মানুষের। আগামী দিনে আরও ২০ হাজার ৩০০টির বেশি শিল্পে ১১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।
অন্যদিকে জল এবং সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নতুন দমকল ভবন নির্মাণ, ৩টি বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন তৈরি, শিবপুর স্নানঘাটের সৌন্দর্যায়ন, হুগলি এবং রূপনারায়ণ নদীর পারের সৌন্দর্যায়ন, হাওড়া জেলা হাসপাতালে সিসিইউ শয্যা, আমতা গ্রামীণ হাসপাতালের ২৪০টি নতুন শয্যা উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, ডায়মন্ডহারবার এবং শিলিগুড়িতে কম ভাড়ায় থাকার জায়গা, বসিরহাট এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নাইট শেল্টারের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘হাওড়ায় এখন শিল্পে জোয়ার এসেছে। আগামী দিনে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হবে এখানেই।’
আরও পড়ুন: পানশালার গায়িকাকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ, খাস কলকাতায় গ্রেফতার অভিযুক্ত
এছাড়া হাওড়ায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ১৭টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। আর রয়েছে ৩৫টি ক্লাস্টার। সেখানে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ কাজ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি জমিদার নই, জোতদার নই। আমি পাহারাদার। আমি গুলির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছি। আমার সারা শরীরে চোট। তারপরও কাজ করা থামাইনি। হাওড়াকে এক সময় প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার বলা হতো। কিন্তু বাম আমলের শেষে এই বর্ধিষ্ণু হাওড়ার কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। আমি যতটা পারছি আমার সাধ্যমতো করছি। আগামীদিনে কী করব সেটা শুনলে চমকে যাবেন। আমার একটু সময় লাগবে। কিন্তু আপনাদের মুখে আমি হাসি ফোটাবই।’