আজ, শনিবার সকাল হতেই দেখা গেল, কুয়াশায় মুখ ঢাকল আসানসোল শিল্পাঞ্চল। এটা বছরের শেষ শনিবার। আর এদিনই সকাল থেকে কুয়াশা চাদরে মোড়া শহর দেখে শীত ভাব অনুভব করছেন মানুষজন। সূর্য উঁকি ঝুঁকি মারছে। কিন্তু পরিষ্কার করে উঠছে না। মেঘলা আকাশের জন্য এখন শীতল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শীতের পোশাকে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষজন। আজ সকাল থেকে কনকনে ঠান্ডা জেলা জুড়েই। আসানসোল আজ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩–১৪ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে বলে খবর। নতুন বছরে দক্ষিণবঙ্গে কি ফের পারদ নামবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে কলকাতায় আজ শনিবার সকালের তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। দক্ষিণবঙ্গে সকালে এবং সন্ধ্যায় হালকা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় শীত উধাও। খুব সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশাও রয়েছে। তবে শনিবার সকালে আবহাওয়া দফতরের হাতে যে উপগ্রহের ছবি এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের লাহোরের যা অবস্থা, পশ্চিমবঙ্গের মালদারও সেই একই অবস্থা। অর্থাৎ কুয়াশায় আবৃত ভারত– পাকিস্তান। ভারতের উত্তর–পূর্বের একাধিক রাজ্যেও ‘কুয়াশা যখন’ পরিবেশ।
অন্যদিকে শনিবার কালিম্পং, দার্জিলিংয়ে বৃষ্টির সঙ্গে উঁচু জায়গাগুলিতে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রার সামান্য পারদ পতন ঘটতে পারে। ২০২৪ সালের প্রথমেই বরফে ঢাকবে শৈলশহর দার্জিলিং। পশ্চিম হিমালয়ের উপর ধেয়ে আসা পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে এমন ঘটবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। এখন পর্যটনের ভরা মরশুম। পর্যটকরাও এখানে ভিড় জমিয়েছেন। এবারের শীতে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু–সহ কিছু উঁচু এলাকায় ইতিমধ্যেই তুষারপাত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা একই থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে।
আরও পড়ুন: সাধুদের ভিড়ে গমগম করছে বাবুঘাট চত্বর, সাগরে পুণ্যস্নানের লগ্ন নতুন বছরেই
এছাড়া এই কুয়াশার জেরে আজ, শনিবার সকাল থেকে দেরিতে চলছে একাধিক ট্রেন। বিমানবন্দরগুলি থেকে উড়তে পারছে না বিমানগুলি। জলীয় বাষ্পের জেরে এই কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে। তারই জেরে শীত উধাও। উত্তর–পশ্চিম শীতল হাওয়ার বদলে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তাই ডিসেম্বর মাসের শেষেও গরম অনুভুত হচ্ছে। আগামী অন্তত আরও ৪ দিন এরকমই আবহাওয়া থাকবে বলে জানান তিনি। সুতরাং বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণেও তাপমাত্রা কমার আশা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।