হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল? নয়া বিতর্ক উসকে দিলেন শুভেন্দু

চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০০ কোটি টাকার ফান্ড রেখে এসেছিলাম। কিন্তু আমি ছেড়ে আসার পর সেই টাকা রাজ্যে নিজেদের হেফাজতে ফিরিয়ে নিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী (ছবি - এএনআই)  (Sanjay Sharma)

এবার হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের টাকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বুধবাদ হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চায়ে পে চর্চায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বিস্ফোক অভিযোগ করেন যে  তিনি যখন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন ২০০ কোটি টাকা রেখে এসেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা নিজেদের ট্রেজারিতে নিয়ে নিয়েছে রাজ্য। এর জেরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে। টাকার অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০০ কোটি টাকার ফান্ড রেখে এসেছিলাম। কিন্তু আমি ছেড়ে আসার পর সেই টাকা রাজ্যে নিজেদের হেফাজতে ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এখন উন্নয়ন পর্ষদে টাকা নেই। আলো খারাপ হয়ে গেলে তা সারানোর টাকা নেই। নিকাশি, দুষণ, রাস্তার কোনও কাজ হয় না। 

 এর সঙ্গে তিনি চাকরির নামে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন। রাজ্যের শাসকদলের পাশাপাশি পুলিশকেও তিনি একহাত নেন। তাঁর কথায়, রাজ্য়ের শাসকদল আর পুলিশ হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে লুঠ চালাচ্ছে। বিচ ম্যারাথনের নাম করে ৬০ লক্ষ টাকা তুলেছে জেলার পুলিশ সুপার। এক ড্রাইভার বলল রিপ্লে কোম্পানিতে কাজের জন্য ড্রপ বক্সে আবেদন করেছিল। শ্রম দফতর হয়ে সেই আবেদন জেলা প্রশাসনের কাছে যাওয়ার কথা। সেই আবেদন গিয়েছে থানায়। ভবানীপুরের পুলিশ আধিকারিক সেই ছেলেকে ডেকে টাকা দিতে বলছে। চাকরির বিনিময়ে দেড় লাখ টাকা চাইছে। বলছে টাকা দিলে ইন্টারভিউতে ডাক পাবে। 

তাঁর দাবিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। এনিয়ে শুভেন্দুকে পালটা আক্রমণ করেছেন পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,  ২০০ কোটির গল্প দিচ্ছেন শুভেন্দু।  ফাঁকা করে দিয়ে গিয়েছেন। আসলে ওই ২০০ কোটি ওনার বাড়িতে রয়েছে। হলদিয়ার উন্নয়ন নিয়ে ওনার গাত্র দাহ হচ্ছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি ১.৫৭ কোটি টাকা ঋণ রেখে গিয়েছে। 

তবে এসবের মধ্যেই শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল এবার তৃতীয়স্থানে নেমে যাবে।