শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাসন নদীর ওপর বেইলি ব্রিজ চালু করা নিয়ে হয়ে গেল জোর রাজনৈতিক তরজা। এলাকার বিজেপি বিধায়কের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকাতেই তৈরি হয়েছে এই ব্রিজ। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ জানানো হয়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, বিধায়ক জানেনই না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ত দফতর এই ব্রিজ তৈরি করেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক ও তৃণমূল–বিজেপি উভয় দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই সাধারণ মানুষের জন্য এই ব্রিজ খুলে গেল।
শনিবার মাটিগাড়া–নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ এই ব্রিজ তৈরির বিষয়ে জানান, ‘২৮ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্রিজে ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। ২৯ তারিখ এই ব্রিজ চালু করে দেওয়ার কথা। কিন্তু চার-পাঁচদিন ধরে এই ব্রিজের উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনীতি করা হল। কবে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসবেন, তাঁর হাত দিয়ে এই ব্রিজের উদ্বোধন করানো হবে। কবে গৌতম দেব সুস্থ হয়ে আসবেন, তা নিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছিল। এটা উদ্বোধনের কোনও বিষয়ই ছিল না। ব্রিজটি অনেকদিন আগেই সারাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও ব্রিজটি খোলা হচ্ছিল না। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছিল। মানুষের সুবিধার জন্যই এই ব্রিজটি ২৯ তারিখ খুলে দেওয়া কথা ছিল।’
এদিন বিজেপি বিধায়ক জেলাশাসকের কাছে প্রশ্ন তোলেন, 'তৃণমূলের নেতারা এই ব্রিজ উদ্বোধনে কেন থাকবেন? সরকারি একটি কাজ হয়েছে। সরকারের আধিকারিকরা থাকবেন। জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। রাজনীতি করার জন্য তৃণমূল উদ্বোধনের ফিতে কাটার চেষ্টা করছেন।'
এদিকে বিজেপি বিধায়ক এই ব্রিজ তৈরির পিছনে কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি জানালেও তা নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কাজল ঘোষ জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ত দফতর এই ব্রিজটির কাজ শেষ করেছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রী, পূর্ত দফতরকে ধন্যবাদ জানাই এত তাড়াতাড়ি মানুষের জন্য এই ব্রিজটি খুলে দেওয়ায়। আমরা চাই, আমাদের জিএসটির টাকা তাড়াতাড়ি দিলে আরও কাজ মুখ্যমন্ত্রী করতে পারবেন।’ বিজেপি বিধায়কের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, 'কার টাকা, কে দিয়েছে। বিধায়ক কিছুই জানেন না। তাঁর পড়াশোনা করা উচিত।'