দাম্পত্যকলহের জেরে স্বামীকে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর ব্লকের ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীমোহনপুর গ্রামে। নিতের নাম সন্তোষ কুমার মজুমদার ওরফে সুনীল (৬২)। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী শ্রীমতী মজুমদারকে আটক করেছে পুলিশ। মায়ের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন মেয়ে শর্মিলা বিশ্বাস।
নিহতের মেয়ে জানিয়েছেন, ‘মা আমার বাবাকে ভালো বাসতো না। কোনদিন শান্তি দেয়নি। আমার জীবনটাও নষ্ট করেছে। বাবাকে খুব টর্চার করতো মা। আমি বিয়ের পর এই বাড়িতে আসতে পারতাম না। এখন এসে শুনি বাবা মারা গেছে। আমার বাবাকে মারধর করছে মা। মা যেন শাস্তি পায়’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার নিজের কাঠগোলায় কাজ করছিলেন পেশায় সূত্রধর সুনীলবাবু। তখন হঠাৎ তাঁর স্ত্রী শ্রীমতীদেবী সেখানে হাজির হন। কিছুক্ষণ পর সুনীলবাবুর কাঠগোলা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বেরনোর সময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পাঁঠাটা মনে হয় মরে যাবে। ওকে একটু জল টল দেও।’ কী হয়েছে বুঝতে না পেরে কাঠগোলার দিকে এগিয়ে যান তাঁরা। গিয়ে দেখেন, অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছেন সুনীলবাবু।
ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ ঘোষ জানিয়েছেন, যে লোকটি মারা গেছে তিনি কাঠের কাজ করতেন। খুবই নিরীহ ভদ্রলোক ছিলেন। শুনছি ওনার স্ত্রী নাকি মাথায় সিলিন্ডার দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করুক।
খবর পেয়ে এসে দেহ উদ্ধার করে গলসি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছেন আধিকারিকরা।