হাতে আর বেশি দিন নেই। এবার এসে গিয়েছে দুয়ারে দুর্গাপুজো। অর্থাৎ দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে দুর্গাপুজো। এই আবহে অনেকেই উত্তরবঙ্গের শৈলশহরে গিয়ে সময় কাটাতে চান। আর তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারে পড়ুয়ারা। আবার যুবক–যুবতীরাও। এসব কথা মাথায় রেখে নতুন প্রজন্মকে পর্যটনে আকৃষ্ট করতে দেশজুড়ে স্কুলে ‘যুবা ট্যুরিজম ক্লাব’ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক। এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়িতে ২৫টি ক্লাব তৈরি হয়েছে বলে খবর।
কেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? সিকিমের প্রত্যেকটি স্কুলে পর্যটনকে পাঠক্রমের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সিবিএসই বোর্ডও পর্যটন বিষয়কে ঐচ্ছিক পাঠক্রমে রেখেছে। শিলিগুড়িতে কয়েকটি স্কুল–কলেজে পর্যটন বিষয় পড়ানো হচ্ছে। আজ, বুধবার গোটা দেশের সঙ্গে শিলিগুড়িতেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। সেখানে আছে শিলিগুড়ির যুবা পর্যটন ক্লাবের সদস্যরাও। সকালে পদযাত্রার পর শিলিগুড়ি জংশন থেকে সুকনা পর্যন্ত ছুটে চলে টয়ট্রেন। চলন্ত ট্রেনেই নানা অনুষ্ঠান চলে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দারুণ আনন্দ পায়। যাত্রাপথেই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়। আজ সন্ধ্যায় শহরের একটি টি–রিসর্টে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে পর্যটনে মহিলা উদ্যোগপতিদের নিয়ে আলোচনা সভা হবে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আজ নর্থবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বুধবার সকালে এনজেপি স্টেশনে টয় ট্রেনের যাত্রীদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘শিল্প হিসাবে পর্যটন এখন সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করতে পারে। প্রত্যন্ত এলাকাতেও অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে পারে। তাই সকলের নজর এখন পর্যটনেই।’ এই সংগঠনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল জানান, উত্তরবঙ্গের পর্যটন বিকাশে রাজ্য সরকারকে নানা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিকেলে লাটাগুড়িতে পর্যটন ব্যবসায়ী ও পুলিশ প্রশাসনের অফিসারদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা রেখেছি।’
আরও পড়ুন: বিশ্ববাংলা বনাম দুর্গাভারত সম্মান, দুর্গাপুজো নিয়ে এবার জোর টক্কর মমতা–বোসের
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজস্থানের মতোই উত্তরবঙ্গের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও উটের পিঠে পর্যটকদের ঘোরানো, সেবক থেকে গজলডোবা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে র্যাফটিং, বনাঞ্চলে বেড়ানো–সহ নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। তাই আমাদের এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রভাতফেরিতে শান্তিনিকেতনের ট্যাবলো রয়েছে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাঘাযতীন পার্ক থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়। স্কুলের ছেলেমেয়েরা হেরিটেজ টয় ট্রেনে চেপে সুকনা যায়।’