কাঁচড়াপাড়ার বাগমোড়ে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে নিজেকে সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে বসবাস করত সুজন বিশ্বাস। এই সুজনের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সুজনকে। এর আগে, সে বহুজনকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে বহু লক্ষ টাকা তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ। সাম্প্রতিক জিয়াউল হক নামের এক রেল চাকরি প্রার্থীকে নিজের প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে দেয় সুজন। জল কিছুটা গড়াতেই, পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত সুজন।
রেলে চাকরির আবেদন করেছিলেন জিয়াউল হক। চাকরি পাওয়া যাবে কিনা, এই নিয়ে যখন জিয়াউল দুশ্চিন্তা করছেন, তখনই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় সুজনের। জিয়াউলের কাছে সুজন নিজেকে সিআইডি কর্তা বলে পরিচিতি দেয়। এরপর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সুজন আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে নেয় জিয়াউলের কাছে। জিয়াউলের দাবি, সেই সময় সুজন তাকে বলে, চাকরি পেতে গেলে টাকা লাগবে। এদিকে, নিজেকে সিআইডি অফিসার বলে পরিচিতি দিয়ে তার প্রমাণ পত্র হিসাবে বেশ কিছু নথি ,আইকার্ডও জিয়াউলকে, সুজন দেখিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। জিয়াউলের দাবি, টাকা দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল সুজন। শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় চাকরি প্রার্থী জিয়াউলকে।
এদিকে, যাবতীয় উদ্বেগ মাথায় নিয়ে শেষে বীজপুর থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়ৃন জিয়াউল। এদিকে, অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর কাচড়াপাড়া থেকে সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।উল্লেখ্য, গত বছরই কলকাতায় করোনার ভ্যাকসিন কাণ্ডের জেরে ভুয়ো অফিসার দেবাঞ্জনের খবর সামনে আসে। তারপর ফের একবার ভুয়ো সিবিআই কাণ্ডেরও কিনারা হয়। এবার ভুয়ো সিআইডি কাণ্ড ঘিরে শুরু হয়েছে তোলপাড়।