Police constable suicide: পর্ণশ্রীতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যার ঘটনায় ক্লোজ ২ কর্মী, তদন্তের নির্দেশ

পুলক ব্যাপারী ছুটি নেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা ভিত্তিহীন। কারণ পুলিশ কনস্টেবল গত ৮ ডিসেম্বর ছুটি নিয়েছিলেন। তার কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ১২ ডিসেম্বর। কিন্তু, সেই জায়গায় গত ২৯ জানুয়ারি তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যার ঘটনায় ক্লোজ দুজন।

পর্ণশ্রীতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে ২ পুলিশকর্মীর নাম লিখেছিলেন আত্মঘাতী কনস্টেবল পুলক ব্যাপারী। তাতে তিনি ছুটি না দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। এরপরেই ওয়ারলেস ব্রাঞ্চের ২ পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। যদিও পুলক ব্যাপারীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে লালবাজার। অন্যদিকে, সার্ভিস রিভলবার ইস্যু করা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।

লালবাজারে দাবি, পুলক ব্যাপারী ছুটি নেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা ভিত্তিহীন। কারণ পুলিশ কনস্টেবল গত ৮ ডিসেম্বর ছুটি নিয়েছিলেন। তার কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ১২ ডিসেম্বর। কিন্তু, সেই জায়গায় গত ২৯ জানুয়ারি তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কনস্টেবল প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ টি করে ছুটি নিয়েছেন যা অনেক বেশি বলে দাবি লালবাজারের। ফলে ছুটি না দেওয়ার জন্য অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে লালবাজার। প্রসঙ্গত নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই পুলিশ কনস্টেবল। সে ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে,ওই দিন পুলকের কোনও ডিউটি ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন তার নামে সার্ভিস রিভলভার ইস্যু করা হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের একজন ডিসিকে। সেক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে।

যদিও এই ঘটনায় পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে লালবাজারের আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, অনেক টাকা ধার দেনা হয়েছিল। সেই কারণে মানসিক চাপে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। তাছাড়া ক্লোজ হওয়া দুই পুলিশ কর্মীর মধ্যে একজন নিয়মিত পুলকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বিকেলে পর্ণশ্রী থানার গোপালপুর রোডের একটি আবাসনের ঘর থেকে পুলকের দেহ উদ্ধার হয়। তখন জানা যায় নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পর্ণশ্রীর গোপাল মিশ্র রোডের ওই আবাসনের দোতলার একটি ঘরে তিনি ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।