কলকাতায় ফের খুন। নিজের বাড়িতে থেঁতলে খুন করা হলো এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি হরিদেবপুর থানার জিয়াদার গোট এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম বাপ্পা ভট্টাচার্য। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তার মাথায় থেঁতলে খুন করা হয়েছে। এখন কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনার সঙ্গে তার পরিচিত কেউ জড়িত আছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে হরিদেবপুর থানা পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাপ্পা ওই বাড়িতে একাই থাকেন। তার এক মেয়ে রয়েছেন। তবে মেয়ে বাইরে থাকেন। তিনি নিয়মিত ফোনে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তার মেয়ের বক্তব্য, কয়েকদিন ধরেই তিনি ফোনে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বাবার সঙ্গে। এরপর চিন্তাগ্রস্ত হয় তিনি নিজেই বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন তার বাবার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির শৌচালয়ে। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার দু’তলার বাড়ি ঘুরে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। বাড়ির আসবাবপত্রও লন্ডভন্ড রয়েছে।
ওই ব্যক্তিকে যে খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। তবে খুনের মোটিভ এখনো স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এখন লুঠের উদ্দেশ্যে খুন নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি একটি চা কোম্পানিতে কাজ করতেন। তার মেয়ের বক্তব্য, ওইদিন তার বাবার বাড়িতে দুই বন্ধুর আসার কথা ছিল। তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত নেমেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত ,সম্প্রতি কলকাতায় একের পর এক যেভাবে খুনের ঘটনা ঘটছে তাতে উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে।