কন্যাশ্রী থেকে দুয়ারে সরকার, রাজ্যের নানা প্রকল্প, উৎসব স্বীকৃতি পেয়েছে। কখনও বিশ্বের কখনও বা দেশের। সেই সব স্বীকৃতি যাতে সাধারণ মানুষ দেখতে পান তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। স্বীকৃতির স্মারকগুলিকে এবার থেকে আলিপুর জেল মিউজিয়ামে দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার মিউজিয়ামে স্মারক কক্ষের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন আলিপুর জেল মিউজিয়ামে বসছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনী। সেই সম্মিলনী কার্যত চাঁদের হাটে পরিণত হয়েছিল। শিল্প, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
বিকেল চারটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী চলে আসেন আলিপুল সংশোধনাগারে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণের ইতিমধ্যে সংশোধনাগারের বিভিন্ন কক্ষগুলি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শিহরণ জাগানো শহিদ বিপ্লবীদের ফাঁসির মঞ্চ ইতিমধ্যেই আর্কষণের কেন্দ্র বিন্দুতে। সেই আলিপুর জেল মিউজিয়ামে তৈরি হল স্মারককক্ষ।
(পড়তে পারেন। ‘শুভেন্দু গ্রেফতার হবে, লিখে রেখে দিন’, নন্দীগ্রামের শহিদ দিবসে দাবি করলেন কুণাল)
নেদারল্যান্ডের হেগ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের কন্যাশ্রী স্বীকৃতি স্মারক বা দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার স্মারণ সবই এখানে রাখা থাকবে। যাতে সাধারণ মানুষ এসে দেখতে পান। এর আগে রাজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পেলেও তা সাধারণ মানুষ দেখতে পেতেন না। এবার তাঁরা আলিপুর জেল মিউজিয়ামে গিয়ে তা দেখতে পাবেন।
এদিন প্রথমে জেল মিউজিয়ামে এসেই মুখ্যমন্ত্রী স্মারক কক্ষটির উদ্বোধন করে। তার পর শুরু হয় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বিভিন্নগুলি গেয়ে শোনান শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রপঙ্কর।