দরিদ্র মানুষের আয়ের ক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে রাজ্য সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সমস্যায় পড়ছেন দরিদ্র মানুষ। তাই দরিদ্র মানুষের আয়ের লক্ষ্যে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাঁটছে রাজ্য সরকার। মূলত যাদের জব কার্ড রয়েছে তাদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। বিভিন্ন দফতরকে জব কার্ডধারীদের দিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করাতে বলা হয়েছে। যদিও সব দফতরেই কাজ হবে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাকে কেন এমন বঞ্চনা? একশো দিনের কাজ নিয়ে নবান্নের প্রশ্নে বেকায়দায় কেন্দ্র
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে সম্প্রতি সব দফতরকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে প্রত্যেক দফতরকে জবকার্ডধারীদের এই প্রকল্পে কাজে লাগাতে হবে বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক দফতর রয়েছে যেখানে শ্রমিক ভিত্তিক কাজ প্রয়োজন হয় না। যেমন তথ্য প্রযুক্তি, বিচার, অর্থ প্রভৃতি দফতরে শ্রম নিবিড় কাজের প্রয়োজন হয় না। আবার বহু দফতর পুরোপুরি শ্রমনির্ভর। তবে সেখানে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ হয়ে থাকে। তাহলে কীভাবে কাজ করা হবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আক্রমণ করে আসছেন। গতকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানেও ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সব দফতরের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে আলোচনায় উঠে এসেছে এখনও পর্যন্ত ২৫ লক্ষ ৭৭ হাজার জব কার্ডধারীকে কাজ দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরির জন্য ১৬৮৭ কোটি টাকা রাজ্য খরচ করেছে। পথশ্রী প্রকল্পে ৩.৯০ লক্ষ জব কার্ড ধারীকে কাজ দেওয়া গিয়েছে। এই প্রকল্পে তাদের মজুরির জন্য খরচ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত,
কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ার ফলে সমস্যা হচ্ছে বাংলার দরিদ্র মানুষের। তাই রাজ্যের দরিদ্র মানুষকে স্বস্তি দিতে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।এই প্রকল্পে বছরে ৪০-৪৫ দিন কাজ দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে এই খেলা হবে প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।