নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ একটি চিঠি লিখেছেন আদালতের উদ্দেশে। আর তা নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই ঘটনায় দরকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি–সিবিআই। আর তখন থেকেই তেতে উঠেছে বঙ্গ–রাজনীতি। আজ, শুক্রবার এই বিষয়ে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন বিধানসভার স্পিকার? আজ, শুক্রবার ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিবস। এখানে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংবিধান–প্রণেতার মূর্তিতে মালা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কাজ প্রশাসনের করা উচিত। বিচারবিভাগের কাজ বিচারবিভাগের করা উচিত। কেউ যদি মনে করেন আমি কারও থেকে সুপিরিয়র, সেই দৃষ্টিভঙ্গি যদি কারও থাকে আমার মতে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। আদালত যদি মনে করে আমরা সব ব্যাপারে সুপ্রিম, আমার মনে হয় সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল হবে না। ত্রুটিবিচ্যুতি হলে নিশ্চয়ই আদালাত দেখবে। কিন্তু আদালত যেন নিজেকে সুপ্রিম না মনে করে।’
আর কী বলেছেন স্পিকার? গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন। তবে এদিন স্পিকার আক্রমণ না করলেও সতর্ক করে দিলেন। তবে তিনি কারও নাম মুখে আনেননি। বরং তাঁর কথায়, ‘হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত ক্ষমতা আছে। তারা সেই ক্ষমতার অনুশীলনও করতে পারে। কিন্তু দেখতে হবে মানুষের কাছে যাতে ভুল বার্তা না যায়। মানুষের যাতে মনে না হয় আদালত একটা পক্ষ নিয়ে চলছে। সংবাদপত্র খুললেই তো দেখছি সব বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ।’
অভিষেককে ডাকা নিয়ে কী বললেন? ইডি–সিবিআই চাইলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। আর এই বিষয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কড়া ভাষায় বলেন, ‘আজ আদালত বলছে ওমুককে ডেকে পাঠানো উচিত। কালকে বলতে পারে বিধানসভার অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো উচিত। কিন্তু সেটা তো বাঞ্ছনীয় হবে না। আগে ওঁকে উপলব্ধি করতে হবে, বার্তাটা যেন আদালতকেও কোনও একটা পক্ষের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে না হয়। কারণ মানুষের শেষ ভরসার জায়গা আদালতই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup